বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ, প্রেমিক গ্রেফতার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এক কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক শহিদ মিয়া (২৪) কে গ্রেফতার করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। সে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বেতাগড়া গ্রামের জহুর মিয়ার ছেলে। ভিকটিম উপজেলার উঃ শ্রীপুর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে।

শনিবার এই বিষয়ে ভিকটিম শনিবার দুপুরে লিখিত ভাবে অভিযোগ দাখিল করলে রাত সাড়ে ৬টায় পুলিশ শহিদ মিয়া(২৪)কে গ্রেফতার করে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়-উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে শহিদের ঘরে বিবাহিত স্ত্রী থাকা সত্বেও গত কয়েক মাস ধরে শহিদের সাথে ভিকটিমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের স‚ত্র ধরেই গত বুধবার দুপুরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভিকটিম লিপিকে নিয়ে পালিয়ে এক আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে নেওয়ার পর বিয়ে কারার কথা বলে ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় প্রেমিক শহিদ। পরের দিন বাড়িতে এসে বিয়ে করবে বলে ভিকটিমকে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে ভিকটিমের বাড়ির সামনে আসতেই ভিকটিম লিপিকে ফেলে চলে যায় প্রেমিক শহিদ। পরে এলাকায় বিষয়টি জানা জানি হলে ভিকটিম লিপির মা এলাকার মাতাব্বরদের বিষয়টি অবগত করেন। পরের দিন শুক্রবার সন্ধ্যার পর গ্রাম্য সালিসে বিষয়টি সমাধানের আলোচনা হয়,তবে গ্রাম্য সালিসে বিবাদীরা কেউ আসে নি।

আলী হোসেন মেম্বার বলেন-ভিকটিম লিপি ও তার মা আমাকে বিষয়টি অবগত করেছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর গ্রাম্য সালিসে বিষয়টি সমাধানের কথাছিলো কিন্তু বিবাদীরা কেউ সালিসে আসে নি।
আরও পড়ুন: ছেলের মাথায় হাত রেখে শপথ নিলেন পিতা

ভিকটিমের মা হালেমা বেগম বলেন-আমার মেয়ের সাথে শহিদের প্রেমের সর্ম্পক ছিলো এটা আমি জানতাম না। ঘটনার পর জানতে পারলাম। আমার মেয়েকে শহিদের আত্মীয়র বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে পরের দিন বাড়ির সামনে রাস্তায় ফেলে যায়। এখন আমার মেয়েকে সে বিয়ে করতে চায় না,কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চায়। আমার মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করে এখন বিবাদীরা টাকা দিয়ে ইজ্জতের ম‚ল্য দিতে চায়। তাই আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

ভিকটিম বলেন-শহিদ আমাকে বিয়ে করবে বলে বুধবার দুপুরে আমাকে নিয়ে পালিয়ে যায় তার আতœীয়ের বাড়িতে। সেখানে আমার মতের বিরুদ্ধে জোর করে আমাকে ধর্ষণ করে। আমি প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে আমাকে বিয়ে করবে বলে বাড়ি নিয়ে আসার সময় আমার বাড়ির কাছাকাছি এসে আমাকে ফেলে চলে যায়। আমার সাথে এতো কিছু করে এখন শহিদ আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে,টাকা নিয়ে ম‚খ বন্ধ রাখতে বলে। তাই আমি বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

তাহিরপুর থানার ওসি মোঃ আতিকুর রহমান বলেন-এবিষয়ে দুপুরে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে রাতে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবের জন্য আটক করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

দেশদর্পণ/জেএভি/এসজে