আদালত কর্তৃক দখল পেয়েও হালচাষে পুলিশের বাধা

পলাশবাড়ীর কুমেদপুরে বিবদমান ৪ বিঘা জমির রায় ও আদালত কর্তৃক দখল পেয়ে শনিবার সকালে আমজাদ হোসেন ট্রাক্টর ভাড়া নিয়ে হালচাষ করতে যায়। কিন্তু বিবাদী পক্ষ একই গ্রামের মো.সরোয়ার রায়হান ওরফে রনি, শরিফুর রহমান রিজু, শফিউর রহমান রায়হান ওরফে কাজল এবং তাদের লোকজন স্থানীয় হরিণাবাড়ি পুলিশের এসআই রবিউলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য তাকে জমিতে হালচাষ করতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ হালচাষরত ট্রাক্টরটি আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় জমির মালিক আমজাদ হোসেনের ছেলে মাহবুব হাসান শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পলাশবাড়ি থানা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে এই বেআইনী কর্মকান্ডের অবিলম্বে প্রতিকারের দাবি করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ১৯৮৪ সালে ওই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস সরকার একটি বাটোয়ারা মামলা (৩৯১/৮৪) দায়ের করেন। মামলাটির প্রাথমিক ও চুড়ান্ত ডিগ্রী লাভের পর বাদি নিম্ন তফসিলভূক্ত জমির ছাহাম চেয়ে আদালতে আবেদন করে। আদালত আবেদনকারির আবেদন মঞ্জুর করে নিম্ন তফসিলভূক্ত জমি ভাগবাটোয়ারার আদেশসহ কমিশনের মাধ্যমে ভোগদখলের অনুমতিসহ ঢোলসহরতের মাধ্যমে উক্ত জমি দখল করে দেয়।
আরও পড়ুন: শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী শামীমের অন্যরকম মানবতাবোধ

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ওই জমি ভোগদখলের পর গত ১৯৯৯ সালের ২২ জুলাই ৩৯৯৫ দলিল মূলে ২০ শতাংশ, ৩৯৯৬ দলিল মূলে ২৫ শতাংশ ২০০০ সালের ১৬ অক্টোবর ৭৪৮০ দলিলমূলে ৫০ শতাংশ জমি আব্দুল কুদ্দুস সরকারের কাছ থেকে আমজাদ হোসেন ক্রয় করে। গত মাঠ জরিপকালে তার নামে বিআরএস খতিয়ান প্রস্তুত হয়। বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে অনেক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হলেও বিবাদীরা উক্ত সালিশী বৈঠকে কোন প্রকার কাগজপত্রাদি উপস্থাপন করতে পারেনি। এতদসত্ত্বেও তারা আমজাদ হোসেনের জমিতে চাষাবাদে বাধা দিয়ে আসছিল এবং তাকে ও তার পরিবারজনকে মারপিটসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আমজাদ হোসেনের ছেলে মাহবুব হাসান, প্রতিবেশী মো. মামুন মন্ডল, মনোহরপুর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সভাপতি মো. মফেজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. পাপুল ইসলাম, মো. সুজা মিয়া।

দেশদর্পণ/এসকেবি/এসজে