ফারুক হত্যার বিচারের দাবি রাবি ছাত্রলীগের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যার মামলায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবি ও তার বোন আসমা বেগমের চাকরি স্থায়ী করণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার বেলা ১২টায় ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে একটি শোক র‌্যালী নিয়ে শহীদ ফারুক হোসেনের স্মৃতি বিজড়িত শাহ্ মখদুম হলের সামনে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন তারা। এসময় শহীদ ফারুকের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর স ালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, রাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, ফারুকের বোন আসমা বেগম, সহ-সভাপতি কাজী লিংকন।

এসময় বক্তারা বলেন, গনিত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ফারুককে ২০১০ সালে ৮ই ফেব্রæয়ারি নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আজ ফারুক হত্যার ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা এখনো এর কোন সুষ্ঠু বিচার পায়নি। আমরা দ্রæত আমাদের ভাই হত্যার বিচার চাই। এসময় ফারুক হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামীদের অতি দ্রæত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনা এবং তার বোনের চাকুরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: রামসাগর ট্রেন চালুর দাবিতে ট্রেন অবরোধ

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ছিলেন সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ নিক্সন, সাদ্দাম হোসেন, মিজানুর রহমান সিনহা, আরিফ বিন জহির, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, দপ্তর সম্পাদক আবুল বাশারসহ বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বাদ আসর শহীদ ফারুকসহ সকল শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় শাহ্ মখদুম (এস এম) হল অডিটোরিয়ামে মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে শিবির কর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এসএম হলের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ পার্শ্ববর্তী সৈয়দ আমীর আলী হলের ম্যানহোলে ফেলে দেয়। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু জামায়াত-শিবিরের ৩৫ নেতাকর্মীর নামসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো শতাধিক জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নগরীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে শহীদ ফারুকের বোন আসমা বেগম বিশ^বিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দপ্তরের কেন্দ্রিয় পত্র প্রেরণ শাখায় দীর্ঘ ৭ বছর চাকুরি করলেও আজও তা স্থায়ী করেনি প্রশাসন।

দেশদর্পণ/এএসএস/এসজে