বাঁধ নির্মাণে গাফিলতির অভিযোগে ১১ পিআইসিকে শোকজ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে গাফিলতির অভিযোগে ১১ পিআইসিকে শোকজ করেছেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবার শোকজ পাওয়া প্রকল্প কমিটিগুলি হলো, মাটিয়ান হাওরের ৫০, ৫২, ৫৪ ও ৫৮ নং প্রকল্প। শনির হাওরের ১১ নং প্রকল্প এবং হালির হাওরের ১৫ নং প্রকল্প। মহালিয়া হাওরের ১৭, ১৮, ২১, ২২ ও ২৩ নং প্রকল্প।

এাছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ার করেন পিআইসিদের।

এদিকে ৬৬নং পিআইসি আলমখালি বাঁধের দায়িত্ব প্রাপ্ত আনিস মিয়া আনফিট বাঁশ সহ নিন্ম মানের কাজ করছেন বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। নীতি মালা অনুযায়ী বাঁধের কাছ থেকে মাটি না কেটে নির্দিষ্ট দুরত্ব থেকে মাটি আনার নিয়ম মানছে না তাহিরপুর উপজেলার বৌলাই নদী সংলগ্ন(থানা সামনে)সাইনবোর্ড বিহীন পিআইসি নং ৩,সহ অনেক পিআইসি। এ ছাড়াও উপজেলার বর্ধিত ঘুরমার একাধিক প্রকল্পের কাজ হচ্ছে না বলে জানান মুক্তিযুদ্ধা সন্তান এম কে ওয়াহিদ।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশি কৃষকের মৃত্যু

হাওর পাড়ের কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দাগন জানান, অনিয়ম হচ্ছে ক্ষমতাশালীদের ছত্রছাড়া থাকার কারনে। যার জন্য সব সময়ের মতই এবারও পাড় পেয়ে না যেতে পারে তার জন্য দায়িত্বশীল ও তদারকী কর্মকর্তাদের আরো কঠোর হওয়া প্রয়োজন। কারন বৃষ্টির সময় গনিয়ে আসছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁধে দেওয়া ২৮ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করতে হবে মর্মে উপজেলার ৭০টি ফসল রক্ষা বাঁধের পিআইসি ও সেক্রেটারীর সাথে চুক্তিনামা সম্পাদন করে আগাম বিল দিয়ে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। কাজের সময়সীমার আর মাত্র ২০দিন বাকী থাকলেও প্রকল্পের কাজের গুণগতমান ও অগ্রগতি খারাপ থাকায় ১১টি প্রকল্পের সভাপতি ও সেক্রেটারীকে শোকজ করা হয়।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী বলেন, হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। যারা পিআইসি হয়েছেন তারা নিয়মনীতি জেনেই দায়িত্ব নিয়েছেন। কাজেই কাজের গুণগতমান ও অগ্রগতি ভাল না থাকায় শনি, মাটিয়ান, মহালিয়া ও হালির হাওরের ১১ পিআইসিকে শোকজ করা হয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

দেশদর্পণ/জেএভি/এসজে