বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশি কৃষকের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশি কৃষক সোলাইমান গাজী (৩২) অবশেষে মারা গেছেন। তিনি গত তিনদিন আগে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সোলাইমান গাজীর মৃত্যুর বিষয়টি শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেছেন বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম।

নিহত সোলইমান গাজী দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মরারপাড়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার নিজের ক্ষেত থেকে সরিষা কাটার জন্য সোলইমান গাজী সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিলেন। সে সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তিনি আহত হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে টেনে হিঁচড়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত তিনদিন ধরে ওই হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছিলেন তিনি।

বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের (কুষ্টিয়া) অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার দুপুরে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোলাইমান গাজী মারা যান। বিএসএফ তার মৃত্যুর বিষয়টি বিজিবিকে নিশ্চিত করেছে। তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, গত ৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) এ উপজেলার ছলিমের চর সীমান্ত এলাকায় নোম্যান্স ল্যান্ডের ১৫৭/২ (এস) সীমানা পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশি ভূখণ্ডে স্থানীয় কৃষক সোলাইমান গাজী, রুবেল মোল্লা ও সাহাবুল ইসলাম নিজ জমিতে সরিষা কাটছিলেন। সে সময় ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার মুরাদপুর ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

এতে সোলাইমান গাজী পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তার সঙ্গে থাকা অপর কৃষকরা পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। পরে গুলিবিদ্ধ কৃষক সোলাইমান গাজীকে বিএসএফ সদস্যরা টেনে হিঁচড়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যান। তাকে ভারতের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবশেষে শুক্রবার দুপুরে সেখানেই তিনি মারা যান।