মনু হত্যার বাদীকে মিথ্যা অভিযোগে আটক, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

লক্ষীপুরের রায়পুরে ১নং চর আবাবিল ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনু হত্যার বাদী শেখ নাদিমকে মোটরসাইকেল চুরির অপবাদে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় আটক করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হায়দরগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে।

মোঃ ইউছুপ হোসেন, মহিউদ্দিন, মানিক সর্দার ও মিন্টসহ হায়দরগঞ্জ বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী হায়দরগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ বেলায়েত হোসেনকে অভিযুক্ত করে বলেন, বুধবার সন্ধা ৭টার দিকে কোন অভিযোগ না দেখিয়েই পুলিশের একটি ফোর্স এসে নাদিমকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। নেওয়ার পর তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-পতঙ্গে বেধম মারধর করে। তাকে ছাড়িয়ে আনতে যাওয়া হলে পুলিশ জানায় সে গত কয়েকদিন পূর্বে বহিরাগত চোর এনে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে। তারা অরো অভিযোগ করে বলেন, যুবলীগ নেতা মনু হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ১৯ ফেব্রæয়ারী।
আরও পড়ুন: চাপাতি দিয়ে রাবির দুই শিক্ষার্থীকে মারধর

আর এর জের ধরে নাদিমকে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য আসামী পক্ষ থেকে হুমকি দিয়ে আসছিল গত কয়েকদিন আগ থেকে। মামলা উঠানোর জন্য নাদিম রাজি না হওয়ায় মোটরসাইকেল চুরির অপবাদে তাকে আটক করে হত্যার চেষ্টা ছিল পুলিশের একটি সাজানো নাটক। আর এই নাটকের বলি হিসেবে নাদিমকে ব্যবহার করা হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে। যাতে মনু হত্যার সাক্ষ গ্রহণের দিন নাদিমসহ সাক্ষীগণ আদালতে উপস্থিত না হতে পারে। আমরা উঃর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছে এর সুস্থ বিচার দাবি করছি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে মনুকে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে । আর এ হত্যার বিচারের দাবিতে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ একত্রিত হয়ে শেখ নাদিমের নেতৃত্বে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে একটি মানববন্ধন করে। এ সময় মামলার বাদি নাদিমের অভিযোগে উঠে আসে তার মামা যুবলীগ নেতা মনুকে ১নং চর আবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সহিদ উল্লাহ (বি.এস.সি) এর ছেলে রায়পুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক সুমনসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে নৃঃশংসভাবে প্রকাশ্য দিবালকে কুপিয়ে হত্যা করে ।

ঐ মানবন্ধনে চার্জসীটভুক্ত প্রধান আসামী মঞ্জুর হোসেন সুমনের ফাঁসির দাবি জানানো হয়। আর ঐ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ১৯ ফেব্রæয়ারি।

এ বিষয়ে ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ বেলায়েত হোসেন বলেন, মোটরসাইল চুরির মামলায় শেখ নাদিমকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

দেশদর্পণ/একে/এসজে