পূর্ণ মীরজাফর অপূর্ণ স্বামী!!

এ কোন পৃথিবী! নিরাপত্তার হাতের ধাক্কায় চোখের সামনে হাবুডুবু! সাক্ষী হয়ে তাকিয়ে রইল চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু!
সাবাস দিতে ইচ্ছে করছে এই কারণে:: মীরজাফর কেও হার মানিয়ে প্রকৃত শয়তানের চরিত্রে অভিনয় করে নিজের কার্যসিদ্ধি করেছে।

ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করছে এ কারণে:: সুন্দরী নারীকে বিয়ে করে, বিত্ত বৈভব ভক্ষণ লক্ষে সসম্মানে বহাল তবিয়তে পোস্তগোলা র সচ্ছল শ্বশুরবাড়িতে সুন্দরী কানিজ ফাতেমার সঙ্গে কাপুরুষ রিপন শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করে স্ত্রীর মন জয় করে।
আর মন জয় না করলে, কি পরিমাণ ভালোবাসার অভিনয় করলে, কতবার অদৃশ্যের নাটক করলে, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করার সুযোগ নিয়ে, স্ত্রীর বাবার বাসায় বসবাস করে তাদেরই খরচে মাদকাসক্তের নেশা দিয়ে নিজের জীবনকে উপভোগ করা আরে স্ত্রীকে ভালোবাসার অভিনয় করে তার নিরাপত্তা পরিবার বিশ্বাস অর্জন করা, যে কোন পুরুষের পক্ষে সম্ভব তো দূরে থাক অসাধ্য সাধন।

রিপন তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা কে চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু বেড়াতে নিয়ে যায়। বিয়ের পর থেকে বসবাস করে শ্বশুরবাড়িতে। স্ত্রী এবং তার বাবার সমস্ত খরচ চলে । অকর্মণ্য রিপন মাদকাসক্ত হয়। নেশার রাজ্য জয় করে শ্বশুরবাড়ির টাকা-পয়সা আদর সম্মানে। বিনিময় ঠিকই ভালোবাসা দিয়ে স্ত্রীর বিশ্বাস ঐটুকু অর্জন করতে পেরেছে যাতে করে অনায়াসেই স্বামীর নিরাপত্তা এর উপর ভর করে মৃত্যু বিসর্জনের বুড়ি গঙ্গ পর্যন্ত যেতে পারে‌

চিরাচরিত গুনাগুন অনুযায়ী স্ত্রী স্বামীকে বিশ্বাস করে। চরম জিগাংসা মূলক গোলমাল হলেও মনে করে বেড়াতে গেলে সবকিছু ভুলে যাবে। নির্জনে স্বামী-স্ত্রী দুজনের চলাচলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু জীবনের মত নেশাখোর মাতাল শয়তানের উত্তরাধিকারী মীরজাফরের দোসররা পুরুষের মতো অভিনয় করে বিশ্বস্ত স্ত্রীর বিশ্বাস ভঙ্গ করে শুধু নিজেকে অপরাধী করে নি করেছে স্বামী-স্ত্রীর চিরাচরিত সম্পর্ককে লজ্জিত অপমানিত,উপস্থাপনের অযোগ্য, সম্পর্ক নির্বাসিত!

মানুষ কিভাবে নেশাগ্রস্ত হয়ে নিজের নিরাপত্তায় রাখা মানুষকে নদীর উপরে নির্মিত ব্রিজ থেকে নিজেই ধাক্কা দিয়ে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও নিজের জীবন সঙ্গী কে নদীতে বিসর্জন দেয়। চোখের সামনে স্ত্রী এতই শত্রু হয়ে গেছে নদীতে হাবুডুবু খাবে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করবে আর স্বামী ব্রিজের উপর থেকে দেখে মজা পাবে। কোন সিনেমাতে এ দৃশ্য নেই। ভিলেন যদি কাউকে বিসর্জন করে নায়ক তাকে বাঁচাতে আসে।

একমাত্র নায়ক যখন ভিলেন হয়ে যায় তখন আর কানিজ ফাতেমা দের বাঁচাবে কে?

ঘটনাটি ঘটেছে চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা সেতুর উপরে রিপন তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বেড়ানোর কথা বলে নিজে ব্রিজের মাঝামাঝি স্থানে কানিজ ফাতেমা কে ধাক্কা দিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে হত্যা করে। সঙ্গে সঙ্গে পাশের লোকজন দেখতে পেয়েছেন কে পুলিশে সোপর্দ করে। রিপন মেলাতে এ হত্যার কথা বলে দোষ স্বীকার করেছে।

রিপন ছিল মাদকাসক্ত পরনির্ভরশীল অপরিপক্ক অসময়ে পুরুষ! যে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার আগেই অপরিপূর্ণ একজন স্বামী হয়েছিল। তার আগেই অযোগ্য মানুষ হিসেবে সমাজের একজন বোঝা হয়ে উচ্ছিষ্ট জিনিস সেবন করে অনুভূতিহীন মানব, শয়তানের আদর্শে স্ত্রীর কাছে একজন মীরজাফর ছিল।

লেখক: ইমাউল হক, পিপিএম