রুম্পা হত্যা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে সৈকত

রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর বন্ধু আবদুর রহমান ওরফে সৈকতকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম) এই আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক শাহ মো. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আসামি সৈকতকে ঢাকার আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ বাসার সামনে অজ্ঞাত ২০-২২ বছর বয়সী এক নারী উপুড় অবস্থায় পড়ে ছিল। তখন স্থানীয় লোকজন মৃতদেহটি ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখেন। অজ্ঞাত আসামি ওই নারীকে ঘটনাস্থলের আশপাশের তিনটি ভবনের যেকোনো একটি ভবন থেকে নিচে ফেলে দেন বলে মামলায় বলা হয়।

আরও পড়ুন:
বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশে ধাক্কাধাক্কি, আটক-৩
আজ পটুয়াখালী মুক্ত দিবস

এরপর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করলেও পরবর্তীতে তদন্তভার ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তকালে অজ্ঞাত ওই নারীর পরিচয় মেলে। ওই নারীর নাম রুবাইয়াত শারমিন। তিনি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। আর আসামি সৈকত ওই ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্র ছিলেন। সেই সুবাদে শারমিনের সঙ্গে আসামির ভালো সম্পর্ক ছিল বলে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে সম্প্রতি তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। ৪ ডিসেম্বর রাতে আসামি সৈকত ও তাঁর সহযোগী অজ্ঞাত আসামিরা শারমিনকে হত্যা করে বাসার ছাদ থেকে ফেলে দেন বলে প্রাথমিকভাবে জোর সন্দেহ করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান আদালতকে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আসামি সৈকতকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

তবে আসামি সৈকতের আইনজীবী আবদুল হামিদ ভূঁইয়া আদালতের কাছে দাবি করেন, সৈকত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। এক সপ্তাহ আগেই তাঁর বাবা ও চাচা মারা গেছেন। শারমিনের মৃত্যু আত্মহত্যা না হত্যা, এ নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। এমন অবস্থায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আসামিকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

ডিসেম্বর ৮, ২০১৯ at ১৬:৫৮:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/বাজা/এআই