আজ পটুয়াখালী মুক্ত দিবস

৮ ডিসেম্বর পটুয়াখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার মুক্ত হয় পটুয়াখালী জেলা। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও জেলার গণকবরসহ স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো এখনো রয়েছে অরক্ষিত। গণকবরসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরীত স্থানগুলো সংস্কার করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করার দাবী স্থানীয়দের।

মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৯৭১সালের ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় পাকহানাদার বাহিনীর অতর্কিত বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হয় পটুয়াখালী। নির্বিচারে চলে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ। ভারতে প্রশিক্ষন শেষে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে থাকলে ১৮ নভেম্বর বর্তমান সিইসি কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টিতে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়।

এতে ৭ পাক সেনা নিহত হয় এবং আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে পটুয়াখালী জেলা শহরে শক্তিবৃদ্ধি করে পাকসেনারা। পানপট্টি যুদ্ধে বিজয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বেড়ে যায় শতগুন। তারা জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে ৭ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়ে। সকলের অগচরে ঐ রাতেই একটি লঞ্চে করে পটুয়াখালী থেকে পালিয়ে যায় পাক বাহিনী।

আরও পড়ুন:
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২

৮ ডিসেম্বর সকালে মুক্ত হয় পটুয়াখালী। মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে। মির্জাগঞ্জ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এসে ঐতিহাসিক শহীদ আলাউদ্দীন শিশু পার্কে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হায়দার।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর জানান, বিজয়ের ৪৮ বছর পরও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর ও স্মৃতি বিজরিত স্থানগুলো অরক্ষিত থাকায় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুদ্ধ। ধুলিয়া শহীদদের গণকবর নদী ভাঙ্গনে বিলীন হবার পথে। পুরাতন জেলখানা গণকবর জরাজীর্ন। এগুলো দ্রুত সংস্কার করে নতুন প্রজন্মের জন্য উন্মুক্ত করার দাবী জানান তিনি।

ডিসেম্বর ৮, ২০১৯ at ১৬:২৪:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসসি/এআই