খাগড়াছড়িতে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী রবিউল ইসলামকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একইসাথে তাকে ১লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারাপ্রাপ্ত বিচারক এবং খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ রেজা মো. আলমগীর হাসান এই রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালের ২৫ আগষ্ট রাতে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার কেয়াংঘাট ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে স্ত্রী ময়না আক্তার (১৯)কে শ্বাসরোধ করে হত্যা স্বামী রবিউল ইসলাম। পরে তার লাশ বাড়ীর পিছনের পাহাড়ের খাদে ফেলে দেয়।
এই ঘটনায় নিহত ময়নার বাবা মাইনুল হক বাদী হয়ে মেয়ের জামাইসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মহালছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিন মাস পর একই বছরের ২০ নভেম্বর রবিউলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশীট দিয়েছিল পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, রবিউল ইসলাম বিয়ের আগে প্রলোভন দেখিয়ে ময়না আক্তারের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে ময়না আক্তার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সামাজিক বিচারে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু ঘাতক স্বামী রবিউল ইসলাম এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি।
এদিকে, এই রায়ে সন্তোষ করে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. বিধান কানুনগো জানান, মামলা চলাকালীন আসামির স্বীকারোক্তি এবং ১৫জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন। এ নিয়ে গত ৫দিনে তিনটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয় খাগড়াছড়ির আদালত।
নভেম্বর ২২, ২০১৯ at ০০:৩৯:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এনএম/এএএম