জাবিতে ৭ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা ও হল সচল করার জন উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কাছে তাদের স্বাক্ষরীত এ আবেদনপত্র দেয়।

এছাড়া হল খুলে দেওয়া সহ ৭ দফা প্রস্তাব করেছে তারা। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের ১৩জন শিক্ষার্থী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর সহ কয়েকজন উপাচার্যপন্থী শিক্ষক উপস্থিত ছিল।

আবেদনপত্রে তারা জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এছাড়া ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম এবং তৈরি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী সেশনজট।

একই সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ও ফলাফল স্থগিত থাকায় শিক্ষার্থীরা চাকরীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য হল, ক্লাস, লাইব্রেরি খুলে দেওয়া সহ ৭দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে তারা। গতকাল বিকেলে আলিফ ফয়সাল নামের এক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরীত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তাদের অন্যান্য প্রস্তাব হচ্ছে- অচলাবস্থার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শীতকালীন ছুটি কমাতে, চাকরীর পরীক্ষায় নিতে অনিশ্চয়তা দূর করে আটকে থাকা ফলাফল প্রকাশ, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আনা অজ্ঞাতনামা মামলা তুলে নেওয়া এবং শিক্ষকদের উপর হামলার তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা, আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ, দুর্নীতির তদন্তের রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত।

আরো পড়ুন:
মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে  বাংলাদেশে ঢুকছে এরা কারা ?
সাব-রেজিষ্ট্রারের জাল স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি

আন্দোলনকারীদের আন্দোলন স্থগিত এবং তদন্তের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিস্থিতির স্বার্থে উভয় পক্ষকে কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে বিরত থাকা।

উল্লেখ্য, ৫ নভেম্বর আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার পর জরুরী ভিত্তিতে এক সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ বন্ধের মধ্যেই উপাচার্যের অপসারণ ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা।

২০ নভেম্বর, ২০১৯  at ১৯:০৯:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/হারর/এজে