কোন গুনাহকে ছোট মনে করা উচিত নয়

ছোট্ট জীবনটুকু যেভাবে যে পথে চালানোর কথা আমরা সেভাবে সে পথে চালাতে পারিনি। প্রতি মুহূর্তে একটু একটু করে জীবনের বরফ গলছে আর যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। এত ক্ষুদ্র জীবন, তাও আমরা কতটা বেখেয়াল।

বলা যায়, এক প্রকার গুরুত্বই দিই না ছোট গুনাহকে। একইভাবে ছোট ছোট নেক কাজ আমাদের চোখে মূল্যহীন। আমাদের সমাজে অবহেলিত। অথচ আল্লাহ বলেছেন, ‘কেউ যদি অণু পরিমাণ ভালো কিংবা খারাপ কাজ করে, তাও সে হিসাবের দিন দেখতে পাবে।

সূরা জিলজাল, আয়াত ৭-৮। পীরের কাছে যখন মুরিদ প্রথম সবক নিতে যায়, তখন কিন্তু বুদ্ধিমান পীর মুরিদকে বড় কোনো আমলের কথা বলেন না। কিংবা বলেন না বড় কোনো গুনাহ ছেড়ে দেওয়ার কথা। তারা সব সময় ছোট ছোট বিষয় দিয়ে শুরু করান।

যেমন বলেন, বাবা! তুমি যা-ই কর, মিথ্যা বলাটা ছেড়ে দাও। অথবা বলেন, বাবা! তুমি এখন থেকে খারাপ নজরে মানুষকে দেখবে না। এমন ছোট ছোট গুনাহ ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে একজন নাপাক-গুনাহগার মানুষকে জমানার শ্রেষ্ঠ অলি হিসেবে গড়ে তোলেন আল্লাহওয়ালা কামিল পীর। আর শয়তান যখন কাউকে ধোঁকা দিতে চায়, তাকে কিন্তু প্রথমেই বড় কোনো গুনাহর কথা বলে না।

আরো পড়ুন :
সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর আজ থেকে

একেবারে মামুলি কিছু গুনাহর কথা বলে। যেমন শয়তান বলে, আজ তো বাইরে বৃষ্টি বা ঠান্ডা বেশি। জামাতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এভাবে আস্তে আস্তে ছোট থেকে বড় গুনাহর দিকে বান্দাকে নিয়ে যাওয়া হয়। একসময়ের শ্রেষ্ঠ অলিও শয়তানের ধোঁকায় ধ্বংসের গভীর খাদে পড়ে গেছে, এমন উদাহরণ কম নেই ইতিহাসে। তাই গুনাহ ছোট বলে তাকে গুরুত্বহীন মনে করতে নেই।

একইভাবে গুনাহকেও ছোট মনে কোরো না। ছোট গুনাহই তোমার বড় আখেরাতকে নষ্ট করে দিতে পারে। কবি শেখ সাদি (রহ.) বড় সুন্দর উপদেশ দিয়েছেন আমাদের। তিনি বলেছেন, ‘পাপকে ছোট মনে কোরো না। এই ছোট পাপ থেকে যদি তুমি বেঁচে থাকতে না পার, এমন একদিন আসবে, বড় পাপ থেকেও তুমি ফিরতে পারবে না।

১৮ নভেম্বর, ২০১৯  at ১১:০৪:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/বাপ্র/এজে