নেপালি কন্যা পিংকি এখন বাংলাদেশি!

পিংকি ছেত্রী নেপালি বংশদ্ভুত একজন বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী। তার দাদু গানের মানুষ ছিলেন, বাবাও ভালো গান করতেন, তাই পারিবারিকভাবেই সংগীতের হাতেখড়ি তার। বেড়ে ওঠেছেন রংপুরের দিনাজপুর জেলায়। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় তিনি।

২০১২ সালে ‘পাওয়ার ভয়েস’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন পিংকি। গান দিয়েই আগামীর পথ চলতে চান তিনি। বর্তমান শিল্পীদের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে সর্বত্র পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। একক অ্যালবামসহ সিনেমার গানেও প্লে-ব্যাক করছেন নিয়মিত।

গানে কন্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি মডেলও হয়েছেন। এছাড়া নিয়মিত তিনি স্টেজ শো নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

অনেকটা আবেগ আপ্লুত এই কণ্ঠশিল্পী। নিজের মৌলিক এই গান এবং ভিডিও নিয়ে পিংকি বলেন, একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে সবার যেমন ইচ্ছে থাকে নিজের গান দিয়ে মানুষের মনে থাকা, নিজের চিন্তা, ভাবনা, অনুভূতিগুলো গানের মাধ্যমেই শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরা।

বাংলাদেশি পরিচয় দিতেই সাচ্ছন্দবোধ করেন তিনি। নিজেকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেব পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার বাবা-মা এই দেশের নাগরিক। আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। তাই নিঃসন্দেহে আমরা বাংলাদেশি।

গান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কথাও জানালেন তিনি। তিনি বলেন, নিজের মৌলিক গান দিয়ে নিজেকে পরিচিত করতে চাই বিশ্ব দরবারে। গানের জগতে প্রবেশ ছোটবেলা থেকে। গানের প্রতি ভালোবাসায় সপ্তম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায়।

সিনেমার গানে প্লেব্যাক করছেন নিয়মিত। নব্বই দশক ও বর্তমান সময়ের সিনেমার গান নিয়ে তিনি বলেন, জেনারেশন পরিবর্তনে মানুষের রুচিরও পরিবর্তন হচ্ছে। এখন সেভাবেই সিনেমার গানগুলোও হচ্ছে।

আরো পড়ুন :
ধনে পতা খাওয়ার উপকারিতা
সাজঘরে ফিরলেন সাদমান-ইমরুল

তার ছোট বোন মালয়েশিয়া পড়াশুনা করছে। তার বাবা অসুস্থ থাকার কারণে পরিবারের সবকিছু তাকেই সামলাতে হয় বলে জানালেন।

প্রেম ও বিয়ে নিয়ে পিংকি জানালেন, মানুষের জীবনে প্রেম আসে। প্রেম তার জীবনেও এসেছিল। তবে এখন  প্রেম নেই কিন্তু বিয়ের বিষয়টি সময় হলে হয়ে যাবে।

১৪ নভেম্বর, ২০১৯  at ১২:০৬:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/সমটি/এজে