চুয়াডাঙ্গা গবর গাড়া গ্রামে বাবার মিথ্যা অভিযোগে সন্তান জেলে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গবর গাড়া গ্রামে বাবার দেওয়া মিথ্যা অভিযোগে সন্তানকে আটক করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় পিতা আলাউদ্দিন ও তার বড় ছেলে মোঃ মারফত দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক কলহ করে আসছে। প্রায় ১৫ বছর আগে ছেলের বিয়ে করা নিয়ে পারিবারিকভাবেই বাবা ও ছেলের কলহ সৃষ্টি হয়।তার দুবছর পরে ছেলে মারফত মালয়েশিয়া পাড়ি জমায়। তার কয়েক বছর পর বাবা আলাউদ্দিন ও মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়।

মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় মারফত এর বাবা ও চাচা মিলে মারফত কে মালেশিয়া মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও চালানো হয় মারফতের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। হাসপাতাল থেকে বের করে মালয়েশিয়ান জেলে রাখা হয় সেখানে তার উপরে চলো অমানুষিক নির্যাতন।দীর্ঘ দিন জেল খেটে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ফিরে আসে মারফত।

কিন্তু ভাগ্য নির্মম পরিহাসে কোন অংশই কমেনা বাবার অত্যাচার অমানুষিক নির্যাতন। এ নিয়ে গ্রামে অনেকবার শালিসের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এতো কোনো শান্তি ফিরে আসে না। প্রতিনিয়ত চলতে থাকে বাপ ছেলের দ্বন্দ্ব কলহ। গত তিন দিন যাবত ঘরের ভিতরে বন্দী করে রাখা হয় মারফতকে। এমনকি ঠিকমত কোন খাবার দেয়া হতো না।এতে মনের ক্ষোভে গত বুধবার ঘরের ভেতর কাপড়চোপড়ে আগুন ধরায় দেয়।পরে পরিবারের লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। এমত অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এই অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ গণমাধ্যমকে জানান তার বাবা তার বিরুদ্ধে নেশা করে বাড়িতে কলহ সৃষ্টি করে এই জন্য থানায় অভিযোগ করেন। আর ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:
কার্পাসডাঙ্গায় নো হেলমেট নো ফুয়েল
শিবগঞ্জে অনশনরত অনন্যাকে বিয়ের আশ্বাস নয়নের পরিবারের!

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় মারফত গ্রামের ভেতর খুবই একজন ভালো ছেলে ও নিয়মিত নামাজ পড়ে কখনো কোন নেশার সাথে জড়িত নয়।তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার মুখরোচক ঘটনা নেই। কিন্তু তার বাবা ইচ্ছা করে নেশার অভিযোগ নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন।

এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চলতেছে বিভিন্ন প্রকার মন্তব্য যে একজন বাবা হয়ে কি করে নিজের সন্তানকে মিথ্যা অভিযোগে জেলে পাঠাতে পারে। কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর দাবি সুষ্ঠু তদন্ত করে বাবা আলাউদ্দিন কে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার জন্য আইনের আওতায় আনা হোক। আইনের প্রতি সবার শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস বাড়বে।

০৮ নভেম্বর, ২০১৯  at ০১:০৩১:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/মো:তারহ/এজে