চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার ছোটকুমিরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত তিন ডাকাতের পরিচয় জানা যায়নি। র্যাবের দাবি ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলি ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৭ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানান, ভোরে র্যাবের টহল দলের সঙ্গে ছোটকুমিরা এলাকায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের গুলি বিনিময় হয়। পরে ডাকাতরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার এস আই রফিক জানান, নিহত তিন ডাকাতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গেল তিন জুন দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সীতাকুণ্ডের কুমিরা বাইপাসের কাজীপাড়া এলাকার ছোট কুমিরা সেতুর ওপর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছিলেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ২২ থেকে ২৩ বছর এবং অন্যজনের বয়স ৩৭ থেকে ৩৮ বছর। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ান শুটারগান, ৩১টি গুলি ও বেশ কিছু ছুরি ও রামদা জব্দ করা হয়। র্যাবের দাবি, নিহত দুজন ঈদে ঘরমুখো মানুষের যানবাহনে ডাকাতি করছিল।
তবে আজকের আগে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে গেল ২৩ অক্টোবর। উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র্যাব-৭ এর টহল দলের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে চাঞ্চল্যকর ডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাত দলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু (২৬) নিহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ২৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব। এ নিয়ে চলতি বছরে ছয় ডাকাত র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
অক্টোবর ২৯, ২০১৯ at ১৬:৪৬:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/ মক /তুম