বিদ্যুৎ খরচ কমাতে এবার এসক্যালেটর, এয়ারকুলার ও ওয়াটার কুলার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুখপাত্র ক্যাথরিন পোলার্ড গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিভিন্ন খাতে খরচ কমিয়ে ৩৭ হাজার কর্মীদের নিয়মিত বেতন পরিশোধের জন্যই নেয়া হয়েছে এ ব্যবস্থা।
সদস্য রাষ্ট্রগুলো ঠিকমত দেনা পরিশোধ না করলে নভেম্বর মাস থেকে জাতিসংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে না বলে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস বলেন, চলতি মাসে আমরা চরম অর্থ সংকটে পড়বো। তহবিলে যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে তা দিয়ে নভেম্বরে বেতন দেওয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন, বিগত এক দশকেও এমন অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে হয়নি জাতিসংঘকে। ৬০টি দেশের থেকে সংস্থাটির প্রাপ্য অর্থ মেলেনি। তাই চলতি অর্থ বছরে ১৪০ কোটি ডলারের ঘাটতির মুখে পড়তে হয়েছে।
শুধু এসক্যালেটর ও কুলার বন্ধ নয়, পাশাপাশি কূটনীতিকদের জন্য নির্ধারিত পানশালাটিও বিকেল ৫টার মধ্যে বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বিমান ভ্রমণেও আনা হচ্ছে কড়াকড়ি।
অক্টোবর ১৩, ২০১৯ at ১৪:৩৭:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/সটিভিও/এএএম