অবশেষে হ্যাজার্ডের গোলে শীর্ষে রিয়াল

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় কে ছিলেন? রিয়াল মাদ্রিদ ও গ্রানাডার ম্যাচ শেষে এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন নয়। ছয়জন গোল করেছেন। দারুণ খেলেছেন কাসেমিরো ও ভালভার্দে। ছয় গোলের ম্যাচে চার গোল হজম করা পরও ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন গ্রানাডার রুই সিলভা।

ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গ্রানাডা যে এক পয়েন্ট পাওয়ার আশা করছিল তার কারণ তো এই গোলরক্ষকই। সাত ম্যাচ শেষেও দুইয়ে থাকা গ্রানাডাকে নিজেদের মাঠে ৪-২ গোলে হারিয়ে লিগের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রিয়াল।

আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য আগামী দুই সপ্তাহ ইউরোপিয়ান ফুটবলে ক্লাব পর্যায়ে কোনো খেলা হবে না। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ছুটি শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই মহাগুরুত্বপূর্ণ এল ক্লাসিকো। আজকের ম্যাচে তাই জয় আবশ্যিক হয়ে দাঁড়িয়েছিল রিয়ালের জন্য।

কিন্তু প্রতিপক্ষ যে গ্রানাডা। লিগে শুধু দুই নম্বর বলেই নয়, এ দল যে বার্সেলোনাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে কদিন আগেই। সে ম্যাচেই রিয়ালের পক্ষে প্রথম জ্বলে উঠলেন এডেন হ্যাজার্ড।

১০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে হ্যাজার্ডকে নিয়ে এসেছে রিয়াল। কিন্তু পাঁচ ম্যাচ খেলেও কোনো গোল নেই, অন্যকে গোল করাতেও পারেননি। সে দুঃখ আজ এক ম্যাচেই ভুললেন।

দারুণ এক চিপ করে গোল করেছেন, লুকা মদরিচের গোলে খুব একটা অবদান না থাকলেও নামের পাশে একটি অ্যাসিস্ট বসতে কোনো আপত্তি থাকছে না।

রিয়ালের দ্বিতীয় দফায় খেলতে এসে প্রথম গোলের আনন্দ হামেসের। ছবি: রয়টার্সরিয়ালের দ্বিতীয় দফায় খেলতে এসে প্রথম গোলের আনন্দ হামেসের। রিয়াল অবশ্য দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের দেখা পেয়েছিল।

ডান প্রান্ত থেকে গ্যারেথ বেলের অসাধারণ এক পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন করিম বেনজেমা। প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে এসেছে হ্যাজার্ডের সেই স্বস্তিদায়ক গোল।

ফেদে ভালভার্দে একক কৃতিত্বে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়েছেন। ফাঁকায় থাকা হ্যাজার্ড পাস থেকে চিপ করে ফাঁকি দিয়েছেন আগুয়ান সিলভাকে।

আরো পড়ুন:
র‌্যাবের হাতে যুবলীগ নেতা সম্রাট আটক
৫০হাজার অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন শ্রমিক বেকার

রিয়ালের দ্বিতীয় গোলেও ভালভার্দের অবদান। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে একাই ছুটে গেছেন। ডি-বক্সের কাছে এসে বলটা বাড়িয়ে দিয়েছেন হ্যাজার্ডের দিকে। সে বল মদরিচের কাছে পৌঁছাতেই অবিশ্বাস্য এক গোলা হাঁকালেন মদরিচ।

বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সে শট আটকানোর ক্ষমতা ছিল না সিলভার। ৬১ মিনিটে ৩-০ গোলে এগিয়ে গেল রিয়াল।

রিয়ালের আরও দুই নিশ্চিত গোল এর আগেই আটকে দিয়েছেন ম্যাচে সাতটি সেভ করা সিলভা। সে ম্যাচেই কিনা পয়েন্ট খোয়াতে বসেছিল স্বাগতিকেরা!

দুর্দান্ত এক গোল করেছেন মদরিচ। ছবি: রয়টার্সদুর্দান্ত এক গোল করেছেন মদরিচ। ৬৯ মিনিটে গোলরক্ষক আরিওলার দোষে পেনাল্টি দিয়ে বসে রিয়াল। সেখান থেকে ব্যবধান কমান মাচিস (৩-১)।

৮ মিনিট পরেই ব্যবধান কমে এল। কর্নারে রিয়াল রক্ষণের ভুল কাজে লাগিয়ে ৩-২ করে ফেলেন ডমিঙ্গোস দুয়ার্তে।

এরপরই রিয়ালকে চেপে ধরে গ্রানাডা। অন্তত এক ম্যাচ নিয়ে বার্নাব্যু ছাড়ার আশায় একের পর এক আক্রমণ করছিল তারা। এর মাঝেই ৮৫ মিনিটে বেনজেমার একটি শট অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দেন সিলভা।

তবে শেষ মুহূর্তে রিয়ালকে স্বস্তি এনে দেন হামেস রদ্রিগেজ। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে দারুণ এক প্রতি আক্রমণে ওদ্রিওসোলার পাস থেকে ম্যাচের মীমাংসা করে দিয়েছেন হামেস।

৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার শীর্ষে রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলে ১৪ ও ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ও চারে আছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা।

অক্টোবর ০৬, ২০১৯ at ১১:১৯:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/প্রআ/এএএম