ই-সিগারেটসহ তামাক পণ্যের আমদানি ও বিক্রি বন্ধ নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে- সরকার

দেশে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী ৩৫ শতাংশের বেশি মানুষ কোনো না কোনো ধরনের তামাক সেবন করে। তবে ই-সিগারেটের প্রভাব নিয়ে বলার মতো কোনো পরিসংখ্যান নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের হিসাবে, ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তাদের স্কুলের শিশুদের মধ্যে ই-সিগারেট সেবনের হার ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮০৫ জনের ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়া ও ১২ জনের মৃত্যুর পেছনে ই-সিগারেট ও ধূম্রউদ্গীরক তামাকের ভূমিকা আছে।

আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার সম্মতিতে জামিন নিয়ে এমপিদের দৌড়ঝাঁপ
শিক্ষার্থীদের অতীতের ইতিহাস জানার প্রতি গুরুত্ব দিলেন -ডিসি

এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক বন্দনা শাহ। বৈশ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব শেখ ইউসুফ হারুন একথা জানান।

তিনি বলেন, ই-সিগারেটসহ নতুন ধরনের সব তামাক পণ্যের উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি যত দ্রুত সম্ভব নিষিদ্ধ করতে হবে। শীর্ষ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এবিষয়ে আমরা আলোচনা করব। স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা তুলে ধরে সম্প্রতি ভারত ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করে।

এর আগে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ ৩০টির বেশি দেশের এসব তামাক নিষিদ্ধের কথা তুলে ধরে সচিব বলেন, “বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।”

অক্টোবর ০৩, ২০১৯ at ২০:৪৪:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/কেএ