প্রধান শিক্ষকের ভয়ে ১৩ দিনেও স্কুলে ফিরতে পারেনি শিশু শিক্ষার্থী

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের ভয়ে গত ১৩ দিনেও স্কুলে ফিরতে পারেনি ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রমনা বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

গত বুধবার (৯ আগষ্ট) এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ১৩দিন পরও বিদ্যালয়ে ফিরতে পারেনি ওই ছাত্র। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের নাম মাঈদুল ইসলাম। সে উপজেলার পানাতি গ্রামের মোহাইমিনুল ইসলামের ছেলে।

আরো পড়ুন :

> রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম, এলাকাবাসী ও ঠিকাদার মুখোমুখি
> যশোরে তেলবাহী ট্যাংকার লাইনচ্যুত: ৭ ঘণ্টা পর যোগাযোগ স্বাভাবিক

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র মাঈদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ক্লাস করার জন্য স্কুলে যাই এমন সময় প্রধান শিক্ষক ছাবেদ আলী মন্ডল আমাকে এসে বলে আমি যেন তোমাকে আমার চোখের সামনে দেখি না। এখনি স্কুল থেকে চলে যা। আমি বলি ও স্যার আমি কি করেছি যে আমাক বের করি দেন। স্যার বলে কোন কথা নাই ভাগ এখান থেকে। আর বলে স্কুলের জানালা হারায় তখন কি করিস। তোর দরকার নাই স্কুলে। সেদিন বের করে দিলেও আমি পরেরদিন আবারো স্কুল যাই স্যার সেদিনো আমাক ক্লাস থেকে বের করি দেয়।

এই ঘটনার পর ওই ছাত্রের অবিভাবক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদকে অভিযোগ জানান।  এতদিনেও ভয়ে আমি বিদ্যালয়ে যাইনি। বিদ্যালয় থেকে আমার অভিভাবককেও ডাকেনি। আমি প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাহার ও বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুষ্ঠ পরিবেশ চাই।’  এর আগেও ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রকে বিনা কারনে ২ বছর পরীক্ষার সুযোগ না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

জানা যায়,শামীম মিয়া নামে ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রকে ব্যক্তিগত আক্রশের কারনে ২বছর পরীক্ষা দিতে দেয়নি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পরে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি কামরান মুন্নার হস্তক্ষেপে পরীক্ষার অনুমতি মেলে ওই ছাত্রের। পরীক্ষার পর ভালো ফলাফল করে সে এখন মাধ্যমিকে অধ্যয়ন করছে।অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ছাবেদ আলী মন্ডলকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
স্কুলছাত্রের নানী নবীজান বেগম বলেন, ‘আমার নাতি যদি কোনো ভুল করে থাকে তাহলে প্রধান শিক্ষক আমাকে ডাকতে পারতেন। আমাকে কিছু না বলেই তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছেন। আমরাতো এত কিছু বুঝি না। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন। আমার চাওয়া আমার নাতি যেন বিদ্যালয়ে ফিরতে পারে।’

চিলমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানিনা। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আগস্ট ২৪, ২০২৩ at ১৯:০৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর