জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির মামলায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্র্যাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সোহাগ বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক খোকন হোসেন জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরো পড়ুন :
> পরীক্ষার হলে মেডিকেল টিম সদস্যের ফটোসেশন, ফেসবুকে পোস্টের পর সমালোচনার ঝড়
> জামায়াত আমির-সেক্রেটারিসহ ৯৬ জনের বিচার শুরু
মামলা সূত্রে জানা যায়, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্র্যাফিক ম্যানেজার সোহাগের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগ এনে গেত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন রামপাল উপজেলা তাতী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান শেখ।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২১ সালে মোংলা বন্দর থেকে বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত ডেপুটি ট্র্যাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগের স্বাক্ষরিত অন্তত ৮টি চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত লোগো কলম দিয়ে কেটে প্রেরণ করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পিবিআই, বাগেরহাট কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, দাপ্তরিক কাগজপত্রসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা শেষে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দেন তিনি।
তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন উল্লেখ করেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্র্যাফিক ম্যানেজার সোহাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সরকারের জারিকৃত ‘মুজিব শতবর্ষ’ এর লোগো কেটে বিকৃতি করেছেন। এছাড়া তিনি সাক্ষীদের কাছে মানহানিকর ও বিকৃত কথাবার্তা বলে জাতির মানহানী করেছেন।
মামলার বাদী রামপাল উপজেলা তাতী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান শেখ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। সেই বঙ্গবন্ধুর যে মানহানি করেছে, তাকে আজকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা খুশি হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ফকির ইফতেখারুল ইসলাম রানা বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্র্যাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগের জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে, কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আশাকরি আমরা ন্যায় বিচার পাব।
আগস্ট ২৩, ২০২৩ at ১২:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বানি/ইর