উত্তরখান দক্ষিণখানে বসবাসরত নাগরিকরা কি মানুষ না?

ছবি- সংগৃহীত।

নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৪৫, ৪৭,৫০,৫২ নং ওয়ার্ডের যে সকল নাগরিকরা বসবাস করেন তারা মনে করেন প্রকৃতপক্ষে তারা মানুষই নয়। রাগে ক্ষোবে অভিমানে এলাকাবাসী এমন মন্তব্য করেন।

ঢাকা শহরে বিগত কয়দিনের বৃষ্টিপাতে উক্ত ওয়ার্ডগুলো নিম্ন অঞ্চল বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। বেশিরভাগ বাড়ি ঘরে নোংরা আবর্জনাযুক্ত পানি প্রবেশ করায় দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে মানুষ। সঠিক পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে মানুষকে।

আরো পড়ুন :

> যশোর-খুলনা মহাসড়কে আকিজ সিটির সামনে তেলের ট্রাংকার ও পিকাপের সংঘর্ষে আহত ১
> বাংলাদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয়- রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

এই বিষয়ে কথা হয় ৪৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতালেব হোসেন ও ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডিএম শামীমের সাথে তাদের একই উত্তর ট্রেনজ ব্যবস্থা ও রাস্তার কাজ সেনাবাহিনীকে প্রদান করা হয়েছে ।

যদিও ইতিপূর্বে মেয়র মহোদয় ৯০ দিনের মধ্যে তিনটি রাস্তার কাজ সম্পন্ন করার কথা বললেও তেমন কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। কারণ হিসেবে ২১ ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে টানা বৃষ্টির কারণে কাজ করা সম্ভবপর নয়। বৃষ্টি থামলে যথা নিয়মে কাজ শুরু হবে।

নোংরা ও ময়লাযুক্ত পানির কারণে প্রতিনিয়ত স্কুল কলেজ পড়ুয়া ও অফিসগামীদের প্রতিনিয়ত ১০ টাকার ভাড়া ২০ টাকা গুনতে হচ্ছে। সীমিত আয়ের মানুষগুলো যেন হিমশিমখাচ্ছে। বিশেষ করে আজমপুর কাঁচা বাজার থেকে চৈতির মোর পর্যন্ত কোমর সমান পানিতে নিমজ্জিত। কসাইবাড়ি থেকে দক্ষিণ খান বাজার পর্যন্ত হাটু সমান পানি। মাজার থেকে আটিপাড়া মোড় পর্যন্ত একই অবস্থা। আটিপাড়া থেকে মাস্টারবাড়ি পর্যন্ত, পাতাল পর্যন্ত মাটির মসজিদ থেকে কে সি হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তাগুলোর অবস্থা দেখলে রীতিমতো কান্না এসে যায়। চৈতি থেকে দক্ষিনখান থানায় যাওয়ার রাস্তাটি এতই নাজুক যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। এই সমস্যা থেকে এলাকাবাসী পরিত্রাণ চায়।

আগস্ট ১৬, ২০২৩ at ১৭:৩৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মোরইমি/ইর