বাগেরহাটে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

বাগেরহটের শরণখোলায় মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১১আগস্ট) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পাপিয়া আক্তার (৩৫) ও তার শিশু কন্যা সাওদা জেনিকে (৫) ঘরে ঢুকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মেয়েটি। গুরুতর আহত অবস্থায় মা পাপিয়াকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে হাসপাতলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

পুলিশ রাত ৯টার দিকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে। তবে কি কারণে কে বার কারা এই হত্যাকান্ডটি ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ স্বপন কুমার বালী জানান, খবর পেয়ে পাপিয়া আক্তারকে তার ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ হয়। এসময় বাড়ির কিছু দূরে তার শিশু কণ্যা সাওদা জেনির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে জানানো হয়।

তিনি আরও জানান, পাপিয়ার স্বামী আবু জাফর হাওলাদার কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। তার ছেলে জিহাদ (১৫) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে একটি দোকানে কাজ করে। মেয়েকে নিয়ে পাপিয়া বাড়িতে একই থাকতেন। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা বোঝা যাচ্ছে না।

রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা জানান, আমার ইউনিয়নের ১নম্বর উত্তর রাজাপুর গ্রামে মা-মেয়েকে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। পারিবারিক কারণে এটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।

শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশফাক জানান, পাপিয়া আক্তারকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম পাওয়া গেছে।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাক্ষনিক ভাবে কি কারনে এ হত্যা কান্ড তার কোন তথ্য জানাযায়নি। তবে তদন্ত চলছে। দ্রুতই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে।