যৌন নিপিড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক জনির দায়মুক্তি প্রচেষ্টার বিরূদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের দায়ে অভিযুক্ত পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনিকে দায়মুক্তির অপচেষ্টা ও দুর্নীতির দায়ে পদত্যাগকারী সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরকে ইমেরিটাস অধ্যাপক বানানোর প্রচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ঘুরে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করেন তারা।

আরো পড়ুন :

> জাবিতে ছাত্রলীগের ছিনতাইয়ের কবলে নোবিপ্রবির শিক্ষিকা
> ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক উঁচুতে : ড. আব্দুর রাজ্জাক

জানা যায়, অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ২০০৯ সাল থেকে প্রায় তিন বছরের বেশি সময় উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, ছাত্রলীগের ‘একটি অঞ্চলভিত্তিক’ অংশকে মদদ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে বাঁধা দেওয়াসহ নানা অভিযোগ ওঠে। তার ‘মদদপুষ্ট’ হিসাবে পরিচিত ছাত্রলীগ নেতাদের হামলায় সংগঠনটির অন্য অংশের কর্মী ও ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ নিহত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে ওঠে। এরপর ২০১২ সালের ১৭ মে উপাচার্যের পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে ‘চাকরির প্রলোভনে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে’র অভিযোগ উঠে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার অলোচ্যসূচিতে ইমেরিটাস অধ্যাপক নীতিমালা এবং ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের দায়ে অভিযুক্ত মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উত্থাপন করা হয়।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, ‘শরীফ এনামুল কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন সময়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবান্ধব ছিলেন না। নিজের কাছের মানুষদের পছন্দমতো পদে বসাতেন। এমনকি সে সময় জুবায়ের হত্যাকান্ড ঘটেছিল। জুবায়ের হত্যাকান্ডে জড়িত ছাত্রলীগের খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন অধ্যাপক শরীফ। তবে বর্তমান প্রশাসন শরীফ এনামুল কবিরকে ইমেরিটাস অধ্যাপক পদে বসানোর নজির তৈরি করতে যাচ্ছে, প্রশাসনের এমন কর্মকান্ডে ধিক্কার জানাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের যে অভিযোগ, সেই অভিযোগ থেকে জনিকে দায়মুক্তি দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, নিপীড়ক শিক্ষকের বিচার করেন। ধামাচাপা করার চেষ্টা করবেন না।’

আগস্ট ১০, ২০২৩ at ১৯:১৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর