চিলমারীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মহামান্য হাইকোর্টের আদেশকে অমান্য করে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মৎস্য অভয়াশ্রম ঘোষনা করে জমির প্রকৃত মালিককে জমি থেকে দখলচুত্য করার উদ্দেশ্যে হয়রানী ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী জমির মালিকরা। শনিবার দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাব চিলমারীর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো.সিদ্দিক হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, চিলমারী উপজেলাধীন রমনা ইউনিয়নের চরপাত্রখাতা মৌজার ১নং খতিয়ানভূক্ত ১৩১২নং দাগের ৮০শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক তার বাবা বাবু মিয়া ওরফে বাবর আলী। গত ১৪/০৩/২০০৭ইং তারিখে ৩৪১নং কবুলিয়ত মূলে বাংলাদেশ সরকারের নিকট হতে উক্ত জমি সেলামী প্রদান পূর্বক ৯৯বছর মেয়াদে বাবু মিয়া ও কুলুকজান বেগমের নামে বন্দবস্তো হয়।

আরো পড়ুন :
> পাইকগাছায় ধুলোবালি এর মোড়ক উন্মোচন
> পাইকগাছায় দুই মাথাওয়ালা বাছুরের জন্ম;এলাকায় চাঞ্চল্য

তখন থেকে অদ্যাবধি ওই জমি আমরা ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। বর্তমানে একই এলাকার আ.রাজ্জাক ও কাজিম উদ্দিনের প্ররোচনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বন্দবস্থো বাতিল করে ওই জমিতে মৎস অভয়াশ্রম করার পায়তারা করেন। এসময় বন্দবস্তো বাতিল চেষ্টার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করায় মামলা চলমান রয়েছে। মামলা চলমান থাকা সত্বেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মৎস্য অফিসার ওই জমি থেকে আমাদের দখলচ্যুত করতে মিথ্যা মামলা প্রদানসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করে আসছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মৎস্য অফিসারের মিথ্যা মামলা,হয়রানি ও নির্যাতন থেকে নিস্কৃতির জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,দুলাল হোসেন,মাসুদ মিয়া,আতাউর রহমান,বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ,আমির হোসেন,তারা মিয়া,চাদ মিয়া প্রমুখ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাহবুবুর রহমান বলেন,আমাদের খাস জমিতে মৎস্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে। জমিটির বন্দবস্তো অনেক আগে বাতিল হয়েছে।ওরা মামলা করেছে,মামলায় হেরেছে। আপিল করেছে,আপিলে হেরেছে। শুনেছি গত মে মাসে ওরা হাইকোর্টে কিছু একটা করেছে তার চিঠি আমরা পাইনি। পরে সিদ্ধান্ত হলে সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জুলাই ২২, ২০২৩ at ১৮:০১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ফহ/মেমহ