তালায় বাক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষন!থানায় মামলা, আটক-২

সাতক্ষীরার তালায় জোর পূর্বক ধর্ষনের শিকার হয়েছে ২২ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী এক নারী। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ( ১৪ মে) রাতে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া গ্রামে।

রবিবার রাতেই ধর্ষণের অভিযোগে ইবাদুল (৫০) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৫) নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তালা থানা পুলিশ। ইবাদুল জেঠুয়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী ছেলে ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৫) একই গ্রামের মন্টু গোলদার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত ইবাদুল ও মামুনকে থানায় অনলে ধর্ষিতা ইশারায় দুজনকেই শনাক্ত করেন। এঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে ধর্ষক ইবাদুল ও মামুনকে আসামী করে তালা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ধর্ষিতার মা এ প্রতিনিধিকে জানায়, রবিবার সন্ধ্যার সময় তিনি ঘরের ভিতরে নামাজ পড়ছিলেন। সে সময় তার বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে উঠানে কাজ করছিলেন। নামাজ শেষে ঘর থেকে বের হয়ে মেয়েকে না দেখে পড়ার বিভিন্ন জায়গায় খুজতে থাকেন। কোথাও না পেয়ে এলাকাবাসীর সহয়তায় বিভিন্ন জায়গায় খুজাখুজি করতে থাকেন।পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে জেঠুয়া গরুর হাট সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদীর পাড়ে নির্জন এলাকায় তাকে অসুস্থ অবস্থা দেখতে পান।তখন বাক প্রতিবন্ধী ঐ মেয়ে ইশারায় ইবাদুল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে জোর করে তুলে এনে ধর্ষন করেছে বলে জানতে পারেন।ঘটনাটি প্রথমে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানান তারা। চেয়ারম্যানকে জানানোর কিছুক্ষণ পরেই থানা পুলিশ এসে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে বাক প্রতিবন্ধী ঐ মেয়ে ইশারায় তাকে দুইজন ধর্ষন করেছে বলে জানায় থানা পুলিশকে। এঘটনায় রাতেই পুলিশ জোর পূর্বক ধর্ষেনর অভিযোগে ইবাদুল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।গ্রেপ্তারকৃতদের থানায় অনলে ধর্ষিতা ইশারায় দুজনকেই শনাক্ত করেন।

ধর্ষনকারী ইবাদুল ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান ধষিতার মা। তালা থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী রেজাউল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন,ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার(১৬ মে) তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

মে  ১৫, ২০২৩ at ১৯:৩২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর