রূপগঞ্জে বিস্ফোরণ: দগ্ধ কেউ বেঁচে নেই

ছবি- সংগৃহীত।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্টিল মিলে চুল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ইব্রাহিম হাওলাদারও (৩৪) মারা গেছেন। এ নিয়ে ঘটনাটিতে দগ্ধ ৭ জনের কেউ বেঁচে নেই। বুধবার (১০ মে) সকাল ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া।

আরো পড়ুন :
> রাজধানীজুড়ে মশার রাজত্ব
> বছরে পাচার হচ্ছে ৭০০ কোটি টাকা

তিনি জানান, ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইনস্টিটিউটের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (বুধবার) সকাল ৯টার দিকে ইব্রাহিম মারা গেছেন। তার মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, মৃত ইব্রাহিমের ভায়রা ভাই মো. আলমামুন জানান, তার বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার গজালিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত মোকলেসুর রহমান হাওলাদার। স্ত্রী ও ২ মেয়ে নিয়ে রূপগঞ্জের গাউছিয়া চুঙ্গিপাড়ায় থাকতেন।

গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে রূপগঞ্জের গাউছিয়া সাউঘাট এলাকার ‘আরআইসিএল স্টিল মিলে’ লোহা গলানোর ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে তরল লোহা শ্রমিকদের উপর ছিটকে পড়লে গুরুতর দগ্ধ হন ৭ জন। হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান শংকর নামে একজন। আর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মারা যান ইলিয়াস। শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নিয়ন, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আলমগীর, দিবাগত মধ্য রাতে মারা যান রাব্বি। আর শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান জুয়েল।

ঘটনার দিন কারখানাটির সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ জানান, তারা কারখানায় ভাট্টিতে লোহা গলানোর কাজ করছিলেন। ভাট্টির আশপাশে ১৫-১৬ জন শ্রমিকে ছিলেন। হঠাৎ করেই ভাট্টিতে বিস্ফোরণে গলিত লোহা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা দগ্ধ হন। তাদেরকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।

মে  ১০, ২০২৩ at ১০:০৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর