রাজধানীজুড়ে মশার রাজত্ব

মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই নালা, নর্দমা আর বিভিন্ন গর্ত থেকে বের হয়ে আসতে থাকে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা। অট্টালিকা কিংবা বস্তি- কোথাও স্বস্তি নেই। মৌসুমের আগেই ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কতটা তৎপর- এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজছে নগরবাসী।

গত বছরগুলোর তুলনায় কিউলেক্স মশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, বর্ষায় এডিস মশার ঘনত্ব বাড়ে। তাই এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে কয়েক গুণ। রাজধানীতে ঝুঁকিটা বেশি। জুন থেকেই ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়। যদি এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায়, তবে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশা মারতে অভিজাত এলাকাকে যেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়, অন্যান্য এলাকাকে সেভাবে দেয়া হয় না। প্রধান সড়কের পাশে ওষুধ স্প্রে করেন মশক নিধনকর্মীরা। ভেতরের গলিতে তাদের খুব একটা দেখা মেলে না। এসব দিকে সিটি করপোরেশনের বিশেষ নজর দিতে হবে। এছাড়া মশা মারতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৮৫ কোটি টাকা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বরাদ্দ ২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সঠিক খাতে তা খরচের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার ভোরের কাগজকে বলেন, মার্চ মাসের তুলনায় কিউলেক্স মশা একটু কমেছে। তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। এ কারণে আগেই সতর্ক থাকা জরুরি। এই মুহূর্তে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে জরিপ করতে হবে। এর ফলাফলের ভিত্তিতে কাজ শুরু করতে হবে। সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি এই দায়িত্ব নাগরিকদেরও নিতে হবে।

নগরবাসীর অভিযোগ, মশার কামড়ে তারা অতিষ্ঠ। সকাল-বিকাল ওষুধ ছিটানোর কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। যে পরিমাণ ছিটানো হচ্ছে তা কোনো কাজেই আসছে না। ফলে দিনের বেলায়ও মশারি টানাতে হয়। জানালা বন্ধ রেখেও মশার উপদ্রব কমছেই না, বরং বেড়েছে। তাছাড়া সব এলাকায় ওষুধ ছিটানো হয় না। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে অনেক সময় ওষুধ ছিটানো হয়। তখন মশা কিছুক্ষণের জন্য সরে যায়। ধোঁয়া সরে গেলে আবারো মশা বাড়তে থাকে।

৪ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশা, বেশি দক্ষিণে : ঢাকায় একশ বাড়ির মধ্যে ৪টিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড, সেখানে মশার ঘনত্ব বা ব্রুটো ইনডেক্স ২৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার অধীনে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ২৬ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৯৮টি ওয়ার্ডে এই জরিপ চালানো হয়। এর মধ্যে উত্তর সিটির ৪০টি এবং দক্ষিণ সিটির ৫৮টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৫০টি বাড়িতে জরিপ করা হয়। জরিপে ১২৭টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়, যা ৪ দশমিক ০৩ শতাংশ।

উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৪০টি ওয়ার্ড পরিদর্শন করে ৫টি ওয়ার্ডকে মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ৩, ২৩, ২৬ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড। দক্ষিণ সিটিতে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৫৮টি ওয়ার্ড পরিদর্শন করে ১৩টি ওয়ার্ডকে মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে।

৪টি ওয়ার্ড অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেগুলো হলো- ২, ১২, ১৬ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। সামনে যেহেতু বৃষ্টি হবে, তাই সিটি কপোরেশনের আগেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

ফগিং নাকি আইওয়াশ : কীটতত্ত্ববিদের মতে, মশা মারতে ফগিং খুবই দুর্বল ও অকার্যকর একটি প্রক্রিয়া। কেননা এটি শুধু উড়ন্ত মশা মারতে ব্যবহার হয়। পরীক্ষার সময় ফগিংয়ের কার্যকারিতা শতকরা ৯০ ভাগের উপর পাওয়া গেলেও খোলা জায়গায় ফগিংয়ের কার্যকারিতা সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ।

কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তারা বলেন, পরীক্ষার সময় ছোট বাক্স বা একটি নির্দিষ্ট স্থানে মশা আবদ্ধ করে ফগিং করা হয়। এতে মশা পালাতে পারে না, তাই তাদের গায়ে সরাসরি ওষুধ লেগে মারা যায়। কিন্তু খোলা জায়গায় ফগিং করতে গেলে প্রথমেই শব্দ শুনে মশা উড়ে যায়। সেই সঙ্গে খোলা বাতাসে ওষুধ দ্রবীভূত হয়ে ওষুধের ঘনত্ব কমে কার্যকারিতা হারায়।

সব জেনেও দুই সিটি করপোরেশনের মশক নিধন বিভাগের কর্মকতাদের পছন্দের শীর্ষে ফগিং। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে কথা হয় মশক নিধনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই সিটির একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে। তারা বলেন, ফগিং না করলে মানুষ বিশ্বাস করে না মশার ওষুধ দেয়া হচ্ছে। জনসাধারণকে দেখাতেই এই ফগিং করা হয়।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি শহর পরিদর্শনে গিয়ে গত ২১ জানুয়ারি ঢাকায় মশা নিধনের পদ্ধতিতে ভুল রয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমরা এতদিন ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। তাতে মশা তো ধ্বংস হয়নি বরং অর্থের অপচয় হয়েছে। বিবৃতিতে মেয়র এ-ও বলেছিলেন, ফগিংয়ে অর্থ অপচয় না করে লার্ভিসাইডিংয়ে (লার্ভা নিধনে ওষুধ ছিটানো) মনোযোগী হতে হবে।

তবে ওই পদ্ধতি এখনই বাদ না দিয়ে জনগণকে সচেতন করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যতদিন ফগিং চলবে, ততদিন টাকা তো গচ্চা যাবেই। জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ধীরে ধীরে ফগিংয়ের পরিমাণ কমিয়ে আনা হবে। যেমন সপ্তাহে প্রতিদিনের বদলে একদিন বা দুদিন করা হবে। আর লার্ভিসাইডিংয়ে পুরোপুরি সক্ষমতা এলে ফগিং একেবারে বন্ধ করে দেয়া হবে।

সমন্বিত কার্যক্রম চালাবে দুই সিটি : বিগত বছরগুলোর তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে মশা মারতে আগেভাগে প্রস্তুতি ও কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। কর্মপরিকল্পনা মাফিক ডেঙ্গুর প্রাক মৌসুম, মূল মৌসুম এবং মৌসুমপরবর্তী পরিকল্পনা একসঙ্গে লিপিবদ্ধ করে মাঠে নামতে প্রস্তুত।

দুই সংস্থার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, মশা মারতে শুধু ওষুধ ছিটানোকে প্রাধান্য না দিয়ে অন্য পদ্ধতিগুলো সমন্বয় করা হয়েছে। এক্ষেত্রে এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে জরিপ ও নিরীক্ষণ জোরদার, গবেষণাগার ও র‌্যাপিড অ্যাকশন টিম গঠনের পাশাপাশি বিশেষ পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি এডিস মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করতে কীটতত্ত্ববিদদের সহায়তায় জরিপ চালানো হবে। মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। দুই সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে মাঠপর্যায়ে মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শন, তদারকির জন্য ‘মশক নিধন সেল’ গঠন করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত তারা।

জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজা বলেন, মশক নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে ডিএনসিসির রিসোর্স বাড়ানো হয়েছে। মশা নির্মূলে সম্ভাব্য প্রজননক্ষেত্র (হটস্পট) চিহ্নিত করে সেগুলো ধ্বংস করতে বাড়ি বাড়ি চিরুনি অভিযান চলবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ডিএনসিসির ৪ হাজার কর্মী ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া ডেঙ্গু নিধনের কার্যকারী ট্যাবলেট ‘নোভানিউরন ও বিটিআই’ বাড়ি বাড়ি বিতরণ করা হবে। এরপরও কেউ সচেতন না হলে আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, মশা মারতে প্রতিদিন সকালে লার্ভিসাইডিং এবং বিকালে ফগিং করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং করা, লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতি শনিবার স্লোগানের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সচেতনতা কার্যক্রম চলছে। এডিস মশার লার্ভা নিধনে সব প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয়া হয়েছে। এর পাশাপশি খুব শিগগিরই ইমামদের নিয়ে সচেতনমূলক সভা করা হবে। এ কাজে স্কাউট ও বিএনসিসিকে যুক্ত করা হবে।

তিনি জানান, আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে মশক নিয়ন্ত্রণে ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিস ইসরাইলেন্সিস (বিটিআই) নামের এই ব্যাকটেরিয়া লার্ভিসাইটের মাধ্যমে ব্যবহার করা হবে।

ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাডভোকেসি কয়েকটি সভার মাধ্যমে এরই মধ্যে এডিস নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নিজস্ব কর্মীদের পাশাপাশি ওয়ার্ড পর্যায়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করা ১০ জন মশক নিধনকর্মীর মধ্যে ৫ জন ফগার ও স্প্রে মেশিনের সাহায্যে মশার লার্ভা ও উড়ন্ত মশা নিধনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

মশা মারতে একগুচ্ছ কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। মশক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত লড়াইয়ের অংশ হিসেবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত মানসম্মত কীটনাশকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি চলতি মাসে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, ইমাম, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আঞ্চলিক পরামর্শ ও অবহিতকরণ সভার আয়োজন করবে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করা হবে। মশক নিধনকর্মী, চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও ওয়ার্ড- এই তিন পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক সভা করা হবে। এর মধ্যে প্রতি ওয়ার্ডে প্রতি সপ্তাহে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভা করা হবে। আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩টি প্রতিষ্ঠানে সভা এবং ৩ মাস পরপর কেন্দ্রীয় সভার পরিকল্পনা নেয় ডিএসসিসি।

দক্ষিণ সিটিতে মশার প্রাদুর্ভাব একেবারেই নেই দাবি করে ডিএসসিসি ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামসুল কবীর বলেন, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে আমরা দুটি ভাগে ভাগ করে কাজ করছি। কিউলেক্স ও এডিস মশা মারতে দুই ধরনের কর্মপরিকল্পনা করা হয়েছে। সকালে লার্ভিসাইর্টিং ও বিকালে নিয়মিত ফগিং করা হচ্ছে। আধুনিক মেশিনারিজ এবং পর্যাপ্ত ভালোমানের কীটনাশক সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের আগাম কৌশল হিসেবে এবার স্কুলগুলোকে টার্গেট করে বাচ্চাদের সচেতন করছি। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩শ স্কুলে আমরা সভা করেছি। তাছাড়া চলতি মাসে মেয়র মহোদয় সব সংস্থাকে সমন্বয় করে একটি বিশেষ সভা করবেন।

মে  ১০, ২০২৩ at ১০:৪৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর