প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় সবজি চাষে পাল্টে গেল নওগাঁর আনসার ও ভিডিপির কার্যালয়

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা “এক ইঞ্চি জমি ও অনাবাদি রাখা যাবেনা” এই ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নওগাঁ জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের পতিত জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। প্রাকৃতিক জৈব স্যার ব্যবহার করে সবজি চাষ করার ফলে পাল্টে গেছে নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের দৃশ্যপট। চারিদিকে সবুজ দৃশ্য বিমোহিত সকল সদস্যসহ সেবা প্রত্যাশী গরিব দুঃখী মানুষজনও। কার্যালয়ের সকল সদ্যদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ জেলা কার্যালয়ের আশেপাশের অসহায় – দুস্থ মানুষের মাঝে সরবরাহ করছে বিষমুক্ত এই শাক সবজি।

জানা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’শেখ হাসিনার ফসলি উঠোন, গণভবনে বাংলার মুখ’ প্রতিবেদনটি দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং সম্মানিত মহাপরিচালকের দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য অনুসরণে নওগাঁ জেলা কমান্ড্যান্ট মো. জহুরুল ইসলাম (বিভিএমএস) তার কার্যালয়ের সকল সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালযর পতিত জমিতে বিভিন্ন রকমের সাক-সবজি ফলের চাষ করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের হাতে সবজি বাগান পরিচর্যা করেন তিনি।

সরে জমিনে দেখা যায়, কার্যালয়ের ১৫ শতাংশ পতিত জমিতে প্রায় ১৮ প্রকারের শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, লাউ, বেগুন, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গা, মিষ্টি, কুমড়া, পটল করলা ও শসা। এছাড়াও রয়েছে, পুঁইশাক, কলমি শাক, বিভিন্ন ডাটা, পুদিনা, পাটশাক, ধুন্দল, বরবটি, মরিচ, পেঁপে ও চালকুমড়া। সম্প্রতি রোপন করা হয়েছে মালবেরিসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ফল।

আরো পড়ুন :
> বাড়ির পাশে ডাইং কারখানা, গভীর নলকূপে গরম পানি
> রাণীশংকৈলে প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ: রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা

নওগাঁ জেলা কার্যালয়ে কর্মরত সদস্য অফিস সহায়ক মো. খায়রুল বাসার ও এপিসি লুৎফর রহমান বলেন, জেলা কমান্ড্যান্ট জহুরুল ইসলাম, বিভিএমএস স্যারের তত্ত্বাবধানে আমরা জেলা কার্যালয়ের পতিত জমিতে সবজি উৎপাদন শুরু করি। ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে অবসর সময়ে সবজি বাগানে আমরা সকলেই উৎসাহ নিয়ে কাজ করি। আমরা আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা নিজ হাতে সবজি বাগান থেকে সবজি তুলে খাওয়ার স্বাদ উপভোগ করছি। এর থেকে ভালো লাগার আর কি হতে পারে।

নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সবজি চাষ সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা কমান্ড্যান্ট জহুরুল ইসলাম, বিভিএমএস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান ও সম্মানিত মহাপরিচালক মহোদয়ের সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা থেকেই জেলা কার্যালয়ের পতিত জমিতে সবজি উৎপাদনের চিন্তা ভাবনা আসে। সে চিন্তা থেকেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যালয়ের সকল সদস্য সহযোগিতায় শাক সবজির চাষ শুরু করি। আমরা কোন জায়গা ফাঁকা রাখিনি । আধুনিক পদ্ধতিতে যেখানে যেভাবে সম্ভব সেখানে সে ভাবে সবজি চাষ করেছি এবং সম্পূর্ণ বিশ মুক্ত সবজি চাষ করতে সক্ষম হয়েছি । যার ফলে আনসার ও ভিডিপি সদস্যসহ অন্যান্য গরিব অসহায় মানুষের মাঝে শাক-সবজি বিতরণ করতে পারছি। আর এ সবকিছু করতে পেরে এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে আমার মধ্য। আগামীতেও জেলা কার্যালয়ের পতিত জমিতে সবজি উৎপাদন চলমান থাকবে। এসময় সবাইকে বাড়ির আশেপাশে পতিত জমিতে সবজি চাষের আহ্বান ও জানান তিনি।

মে  ০৭, ২০২৩ at ১৬:৫৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মোসোরা/ইর