রাজশাহীতে স্বামী-স্ত্রীকে পিটিয়ে ফাঁড়িতে ঢুকালো তিন কন্সটেবল !

রাজশাহী মহানগরীতে ব্যাটারী চালিত রিক্সা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন পুলিশ কন্সটেবল মোটরসাইকেল চালক মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩৮), ও তার স্ত্রীকে মারধর করা-সহ লাঞ্ছিত করা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১:২০টায় মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩৮), তিনি মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার রামচন্দ্রপুর (বাশার রোড), এলাকার মোঃ সৈয়দ আলীর ছেলে।
মোটরসাইকেল চালক মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুর ১:২০টায় মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার বোসপাড়া ফাঁড়ির সামনের রাস্তায় পশ্চিম দিক থেকে দ্রæতগতিতে আসা একটি অটো-রিক্সা আমার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে আমি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়। ওই সময় আমি অটো-রিক্সাটিকে থামালে রিক্সা চালকের সাথে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। পরে কন্সটেবল আকবোর, আমিনুল ও বাকিবিল্লাহ ফাঁড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন এবং মারমুখি আচারণ করেন। আমি তাদের খারাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করলে তারা আমাকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করা-সহ মারধর করেন এবং আমার বুকের জামা ধরে টেনে হিচড়ে ফাঁড়ির ভিতর নিয়ে যায়। একই সময় আমার স্ত্রী মোসাঃ মায়া বেগম আমাকে ছাড়াতে এগিয়ে আসলে তাকে লাঠিদ্বারা আঘাত করে এবং টেনে হিচড়ে ফাঁড়ির ভেতর ঢুকায়। তিন কন্সটেবলের টানাটানিতে আমার স্ত্রীর শরীরের কাপড়ের মাজার স্থানে ছিড়ে যায়। এছাড়াও আমার হাতে থাকা ৩৯,৫০০/- টাকা মূল্যের ঠওঠঙ এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল রাস্তায় ছিটকে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কন্সটেবল আকবর মুখ খারাপ করে বলেন, আমার (…….) ছিড়ে নিস।
তিনি আরও বলেন, কন্সটেবলদের ব্যবহার আচারণে আমি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। কষ্ট লাগছে আমার সামনে আমার স্ত্রীকে একটি লাঠিদ্বারা আঘাত করা, মহিলা পুলিশ ছাড়াই তাকে টেনে হিচড়ে ফাঁড়িতে ঢুকানো এবং গায়ের কাপড় এলোমেলো হওয়া সহ কাপড় ছিড়ে যাওয়া। এটা আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পাছি না। কষ্ট পাচ্ছি। আমার চোখের সামনে আমার স্ত্রীকে পুলিশ মারছে এবং টানা হিচড়া করছে। সেই দৃশ্য আমার চোখে ভাসছে।
এ ব্যপারে সরকারী ছুটি শেষে আগামী শনিবার আরএমপি পুলিশ কমিশনার মহাদয়ের নিকট অভিযোগ দিবেন বলেও জানান মোটরসাইকেল চালক মোঃ শরিফুল ইসলাম।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ সাইদুজ্জামান জানান, আমি ফাঁড়িতে ছিলাম না। ফাঁড়িতে গিয়ে মুন্সির কাছে শুনেছি মোটরসাইকেল চালক রিক্সা চালককে মারধর করায় পুলিশ হস্তক্ষেপ করেছে। তবে মোটরসাইকেল চালকের স্ত্রীকে লাঠিদ্বারা আঘাত ও টেনে হিচড়ে ফাঁড়িতে ঢুকানোর বিষয়টি আমার জানা নাই।

দেশদর্পণ/সুশ্/রাঅ/ইর