ট্রল না করলেই যেন নয়

আমাদের এ অঞ্চলে তাপমাত্রা দিনকে দিন বাড়ছে। ভবিষ্যতে হয়ত আরও বাড়বে। গ্রীস্মের প্রচণ্ড দাবদাহে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে প্রথম চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বুশরা আফরিনকে। কানাডায় গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে লেখাপড়া করা বুশরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের কন্যা। বাংলাদেশে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শক্তি ফাউন্ডেশনে একজন নির্বাহী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।

চিফ হিট অফিসার পদটি কেমন? উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, চিফ হিট অফিসার (Chief Heat Officer), বা সিএইচও (CHO) হলেন একজন পৌরসভার সেবক, যিনি চরম উচ্চ দাবদাহ মোকাবেলা এবং শহুরে তাপের প্রভাব হ্রাস করার বিষয়ে কাজ করেন।ঢাকার তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টায় যৌথভাবে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের (আর্শট-রক) সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আর্শট-রক বিশ্বের বিভিন্ন শহরে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় তাদের কাজের অংশ হিসেবে চিফ হিট অফিসার নিয়োগ করে থাকে। তাদের প্রথম চিফ হিট অফিসার নিয়োগ পায় ২০২১ সালে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি, লস অ্যাঞ্জেলেস, চিলির সান্টিয়াগো, সিয়েরা লিওনের সান্টিয়াগো, গ্রিসের এথেন্স, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে চিফ হিট অফিসার রয়েছে। সবশেষ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পেলেন বুশরা আফরিন, যিনি এশিয়ার কোনো শহরের প্রথম চিফ হিট অফিসার।অর্থাৎ এই পদটি পৃথিবীতে নতুন নয়। ঢাকা উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসারের আওতায় যেসব কাজ হবে, সেগুলোর অর্থায়ন করবে আর্শট-রক। এছাড়া চিফ হিট অফিসারের বেতনসহ সব খরচ তারাই দেবে।বিষয়টি নিসন্দেহে সম্মানের। এশিয়ার এতগুলো শহর থাকতে দাতা সংস্থাটির প্রথম নজর পড়েছে ঢাকায়। তারা নিজেদের অর্থায়নে কাজগুলো করবে এবং কাজের অংশ হিসেবেই এই পদে নিয়োগ দিয়েছে। অথচ একদল মানুষ পদটিকে নিয়ে ট্রল করছেন। যা অনভিপ্রেত। কাজেই ট্রল নয়। বরং বুশরাকে অভিনন্দন জানাই।অভিনন্দন বুশরা আফরিন।সাথে আরও কিছু কথা। আমাদের দেশে প্রচুর দুর্নীতি হয়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা নিয়ে বিরাট সমস্যা রয়েছে, দ্রব্যমূল্যের কারসাজি এক বিরাট সমস্যা। ভবিষ্যতে যদি এসব নিয়ে কাজ করতে আসে কোন বিদেশি সংস্থা তাহলে অবাক হবেন না ভাই সকল। সেখানেও প্রধান দুর্নীতিবিরোধী অফিসার, প্রধান নিরাপদ খাদ্য অফিসার কিংবা প্রধান দ্রব্যমূল্য কারসাজি বিরোধী অফিসার নিয়োগ দিতে হতে পারে সেই বিদেশি সংস্থার। তখনও না বুঝে ট্রল করবেন এখনও করছেন। কাজেই আসুন জেনে, বুঝে আলাপ করি।

Mamunur Rashid Nomani
হিট অফিসার নিয়োগ : ধন্যবাদ মেয়র আতিককে
চীফ হিট অফিসার- এই পদটি সৃষ্টিই হয়েছে ’মিউনিসিপ্যাল পাবলিক সার্ভেন্ট’ হিসেবে। অর্থ্যাৎ- এই পদে মূলত স্থানীয় সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেয়া হয়। ২০২০ সালের দিকে লস এঞ্জেলস এ প্রথম চিফ হিট অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়। ‘হিট অফিসার’ এর ধারণাটি আলোচনায় আনে আমেরিকান থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিল এর রক ফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলেন্স সেন্টার নামে একটি বেসরকারি সংস্থা।বুশরাকে পুরো এশিয়ার জন্য চিফ হিট অফিসার পদে নিয়োগ দিয়েছে রক ফেলার ফাউন্ডেশন। মেয়ের সুবাদে উত্তরা সিটি মেয়র আতিক রক ফেলারের সাথে চুক্তি করতে পেরেছেন, যাতে ফাউন্ডেশন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে। এক্ষেত্রে উত্তর সিটির কানাকড়িও খরচ হবেনা, পুরো ফান্ড করবে রক ফেলার ফাউন্ডেশন। মেয়র আতিক ভাগ্যবান, তিনি এমন যোগ্য মেয়ের বাবা।যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকাসহ অনেক দেশের কোনো কোনো শহরে হিট অফিসার আছে, তাদের দেখভাল করে ওই সব শহরের সিটি করপোরেশন। কিন্তু এশিয়ার ক্ষেত্রে এ ধারণা নতুন। রক ফেলার ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এটি এশিয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে দিয়ে শুরু হলো। পুরো এশিয়ার দায়িত্বে বুশরা।

Rashedul Islam
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র আতিক নিজ কন্যাকে নিজের কার্যালয়ে হিট অফিসার নিয়োগ দিয়ে কি বুঝাতে চাইলেন! হিট অফিসার বলতে কি বুঝায়! কি কাজ তার? দেশ ও জাতির কল্যাণে পদবি বলে আদৌ কোন কল্যাণকর কিছু আশা করা যায়!!? জনগণের অর্থে রাষ্ট্র চলছে! আর সেই অর্থ লুটপাট করার জন্য নিজ কন্যাকে নিজ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিয়ে প্রমান করলো যে তিনিও কিন্তু আরেক ধাপ এগিয়ে!

Kabirul Bashar
হিট অফিসার শব্দটি আমাদের কাছে নতুন কিন্তু বিশ্বের কাছে পুরনো। আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি এ প্রতিষ্ঠানটি এশিয়া মহাদেশ তথা বাংলাদেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করার লক্ষ্যে জনাব বুশরা আফরিনকে “চিফ হিট অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। ইতিপূর্বে এ প্রতিষ্ঠানটি পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে আরো ৭ জন নারীকে চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন। নিম্নে তাদের ছবি দেওয়া হল।
সঠিক তথ্য না জানার সীমাবদ্ধতাজনিত কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কিছু কিছু গণমাধ্যম এ নিয়োগকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিয়োগ হিসেবে অভিহিত করে নানান বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে চলেছেন। যা বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক।এ প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, নিয়োগটির সাথে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক বা আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই। যথাযথ যোগ্যতা যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কেবল ফাউন্ডেশনটি তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছেন। তিনি আরো বলেন, এ নিয়োগটি সত্যিই আমাদের দেশের জন্য অনেক বেশি গর্বের এবং আনন্দের।

Ziaul Hoque Mukta
[বাবার কল্যাণে নয়, নিজের পেশাগত অভিজ্ঞতার ধারায় নিয়োগ পেয়েছেন বুশরা আফরিন। অভিনন্দন।]

মোঃ ওমর ফারুক প্রিন্স
আমরা দিন দিন বিবেকহীন হয়ে পড়ছি না তো?
ঢাকা উত্তর রিজিয়নে ‘চিফ হিট অফিসার’ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর কন্যা বুশরা আফরিন। এরপরই দুটো ব্যাপার নিয়ে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে:
১. মেয়র কন্যা হওয়ায় স্ট্রং লবিং সূত্রে সরকারের নতুন উদ্ভাবিত এই পদে বুশরা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে।
২. নতুন হিট অফিসার বেসম্ভব সুন্দরী হওয়ায় উত্তাপ ছড়িয়েছে যোগাযোগ মাধ্যমে….
প্রথম কথা হলো, চিফ হিট অফিসার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কোন পদ নয়। এমনকি এটা সরকারের কোনো পদ নয়। রকফেলার ফাউন্ডেশনের অধীনে Arsht-Rock এবং Extreme Heat Resilience Assistance (EHRA) যৌথভাবে বিশ্ব উষ্ণায়ন কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশে দেশে পাইলটিং করেছে চিফ হিট অফিসার। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাপমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যারা জলবায়ু সমস্যা নিরসনে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করবে।দ্বিতীয় ব্যাপারটি নিয়ে আমি যতটা না বিরক্ত তার চেয়ে বেশি লজ্জিত। তথাকথিত নামধারী ভদ্র সমাজ যেভাবে অশালীন মন্তব্যের মাধ্যমে সাইবার বুলিং শুরু করেছে তা দেখে আমি রীতিমত অবাক। ‘হিট ছড়াচ্ছে হিট অফিসার’ এই ধরনের শিরোনামে আপনারা যখন পোস্ট শেয়ার করেন, তখন মানতে কষ্ট হয় এই আপনারাই নিজেদের সুশীল বলে দাবি করেন। দেশকে এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে আসার বিকল্প নেই। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনাদের এসব মন্তব্য হাজারো তরুণীকে দু’কদম পিছিয়ে যেতে বাধ্য করে। বুশরার হয়তো আপনাদের এহেন মন্তব্যে কিছু যায় আসে না। কিন্তু একবার আপনার নিজের মেয়ে অথবা বোনকে সে জায়গায় বসিয়ে একবার ভাবুন তো, যোগ্যতার মাধ্যমে পাওয়া অর্জন নিয়েও কেউ যখন তামাশা করবে এবং তার বাহ্যিক সৌন্দর্যের উপমা অশালীনভাবে উপস্থাপন করবে সেটা মেনে নিতে পারবেন তো?!মানুষকে সম্মান দিতে না পরালে আপনি কিসের শিক্ষা অর্জন করলেন! শিক্ষিত ঢের হয়েছেন এবার মানুষ হোন। পশুত্ব বিসর্জন দিতে মানুষের টাকা খরচ করতে হয় না। মানবতা খরচ করুন। দেখবেন পৃথিবীটা আসলেই সুন্দর। মানুষকে সম্মান দিতে পারাটাও জীবনের বড় সফলতা। আসুন মানুষকে সম্মান দিতে শিখি।

Asaduzzaman Asad
চিফ হিট অফিসার! কি অভিনব পোস্ট মাইরি! ইসলাম গ্রুপের মালিক কাম ঢাকা সিটি উত্তরের মেয়র সাহেবের কি টাকার অভাব পড়েছে যে পদ তৈরি করে তাতে নিজের মেয়েকেই নিয়োগ দিতে হবে!?

মেয়র আতিকের মেয়ে এখন ‘চিফ হিট অফিসার’!
ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আফরিনকে উত্তর সিটি করপোরেশনের ‘চিফ হিট অফিসার’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।বুশরা ঢাকা উত্তরের তাপ কমানোর দায়িত্ব পেয়েছেন। মেয়র নিজের মেয়ের জন্য এই পদটি তৈরি করেছেন বলে নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলে হাসি-ঠাট্টা করছেন।অভিযোগ আছে, উত্তর সিটি কর্পোরশনের প্রায় সব সেক্টরের আতিকের পছন্দের মানুষ। এমনকি সিটি কর্পোরেশনের নিউজ করা সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে নিয়েছেন মেয়র আতিক।নেতিবাচক প্রচারণা ঠেকাতে মেয়র আতিক একঝাঁক সাংবাদিক পালেন। সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে কোন নেতিবাচক নিউজ ঠেকাতেও কাজ করে আতিকের সুবিধাভোগী সাংবাদিকরা।সাংবাদিকদের সিটি কর্পোরেশনের টাকায় নিয়মিত দেশ বিদেশ ভ্রমণে নিয়ে যান আতিক। সম্প্রতি, সাংবাদিকদের নিয়ে আমেরিকায় প্রমোদ ভ্রমণে গিয়েছিলেন মেয়র। যা নিয়ে একটি সংবাদ প্রচার করে করাপশন ইন মিডিয়া।এরপর আতিক এক সংবাদ সম্মেলনে, করাপশন ইন মিডিয়ার সমালোচনার পাশাপাশি করাপশন ইন মিডিয়ার সদস্যদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন।

Ali Ahsan
ব্যাপারটা কিন্তু ভাল হিট হয়েছে! চীফ হিট অফিসার।কয়েক বছর আগের কথা। আমার অফিস আমার পদবি পরিবর্তন করবে সিদ্ধান্ত নিলো। হেড অব প্রকিউরমেন্ট থেকে হবে চীপ প্রকিউরমেন্ট অফিসার।সব ঠিকঠাক। নতুন বিজনেস (যেটা প্রচলিতভাবে ভিজিটিং কার্ড নাম) কার্ড ছাপিয়ে আনা হয়েছে- চিফ প্রকিউরমেন্ট অফিসার হিসেবে। আমি গম্ভীরমুখে চেক করে বললাম- কার্ডে বানান ভুল হয়েছে। চিফ বানান পযবধঢ় হবে। আমাদের ই. ডি. স্যার সামনেই ছিলেন, তিনি বললেন- আপনার ইংগিত রসিকতা বুঝতে পেরেছি। আমি ধন্যবাদ জানিয়ে টেবিলে যেয়ে বসলাম।

জাহাঙ্গীর আলম চেয়ারম্যান
হিট অফিসার কি? আমরা কতোটা নিচে নামতে পারি? কতোটা নিচে নামাতে পারি?
সেটা দেখার, বোঝার আর বাকি রইলো না। সে আমার বোন লাগে, আমার মা লাগে। আপনার বোন/মা কে এভাবে বলতে পারবেন তো? বলবেন, লিখবেন ঠিক এভাবেই নজর দিবেন, ট্রল করবেন তাকে নিয়ে!
প্রথমত তাকে নিয়ে আমি গর্ভবোধ করছি সে আমাদের কুমিল্লার সাবেক বৃহত্তর দাউদকান্দি তথা বর্তমান তিতাসের মেয়ে। সময়ের সাথে আমাদের ট্রল থেমে যাবে কিন্তু সে থামবে না। এগিয়ে যাবে স-দর্পনে সামনের দিকে, কারন তার যোগ্যতা আছে আর আমাদেও নেই বলে আমরা তাকে নিয়ে আজাইরা সমালোচনা করছি!
কতটুকু ব্যাক ডেটেড আমরা সেটা বুঝলাম অনেক নামধারী শিক্ষিত মানুষের ট্রল করা পোস্ট পড়ে। আমরা জাতি হিসেবেই খারাপ নাকি ব্যক্তি হিসেবে খারাপ সেটা আমি প্রায় মিলানোর চেষ্টা করি। মনে হয় ব্যাক্তি বা মানুষ গুলো ঠিক হলে জাতির কোন দোষ থাকবে না গালি খেতে হবে না।

আরো পড়ুন :
> বদলগাছীতে প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১
> র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পাকিস্তান, বাবর আজমের অন্যন্য রেকর্ড

হিট অফিসার কি?
সেটা আমাদের কাছে নতুন শব্দ এর আগে তাপমাত্রার এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি আমরা তাই আগে শুনিনি। অবাক লাগে নতুন শব্দটা শুনে একটু জানারও চেষ্টা করলাম না আসলেই তার গুরুত্বটা কি। মনের ভিতরের রসালো কথাগুলো রস কস মিলিয়ে শুরু করে দিলাম নির্লজ্জতার ছড়া ছড়ি।তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বাহিরের একটা সংস্থা থেকে, যে সংস্থার মূল কাজ হলো পরিবেশ রক্ষা বা উন্নয়নে কাজ করা। একটা শহরের অবকাঠামো কেমন হলে কি পরিমান বনায়ন বা গাছ পালা লাগালে তার ভারসাম্য বজায় থাকবে বা পরিবেশ ভালো থাকবে এরকম নানা বিধ দিক নিয়ে কাজ করে তারা। পরিবেশগত পরিবর্তনের মাধ্যমে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমানোর চেষ্টা করা।রোজ আমরা গাছ কেটে পুড়িয়ে কল কারখানা থেকে বর্জ তৈরি করে কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমান বাড়িয়ে পৃথিবির তাপমাত্রা বাড়াচ্ছি। একজনকে নিয়োগ দেয়া হলো এসব বিষয়ে সমিক্ষা চালিয়ে কিছুটা পরিবর্তন আনা যায় কিনা চেষ্টা চালানোর জন্য আর আমরা চালিয়ে দিয়েছি নোংরামির ছুঁড়ি। পত্রিকা গুলো ও আজকাল হেডলাইনগুলো পোস্ট করে এমনভাবে যেন রস্য কবিতা বা এডাল্ট কোন কন্টেন্টের জন্য আকর্ষন করার মতো করে।আবার তুরা মানুষ হ।ক্ষমা প্রার্থনা করছি বোন/মা। আমরা এমনই তার পরও অন্যের দোষ খুঁজি নিজেকে সংশোধন করতে পারি না।

Shahriar Polash
আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা এবং একজন বুশরা
বুশরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিক সাহেবের মেয়ে। তিনি নিয়োগ পেয়েছেন হিট অফিসার হিসেবে। এই নিয়োগ প্রদান করেছে আমেরিকান একটি সংস্থা। এশিয়ায় নিয়োগ পাওয়া বুশরা একমাত্র নারী। সারাবিশ্বে আরও ৭টি শহরে হিট অফিসার পদে নারীরা নিয়োগ পেয়েছেন। বুশরা কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। যারা মেয়েটিকে নিয়ে নোংরা কথা লিখছেন তারা দয়া করে একটু খোঁজ নিন।

Md. Ismail Ali
বিশ্বের প্রথম হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের ৭টি শহরে হিট অফিসার আছে, যারা সবাই নারী। মেয়র কন্যা বুশরা এশিয়ার প্রথম হিট অফিসার

Tarek Mahmud
হিট অফিসার সব নারী কেন জানতে চাই

Abu Sayed
তাদের বেশ কয়েকজনের এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড দেখলাম, এনভায়রনমেন্ট নিয়ে পড়া, কাজও সেসব নিয়ে। সোনার বাংলায় তো এসব পড়া লাগে না, প্রজ্ঞাপনও দেয়া লাগে না। বাপ চাইলো মেয়েকে বসায় দিলো।
তথ্য বাবা, জয় বাংলা

MD Sobus Miah
ভাই বাংলাদেশে টাকা বেশি না আরব আমিরাত অথবা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে টাকা বেশি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এত গরম তারাই তাপমাত্রা কমাইতে পারে না আর বাংলাদেশ তো গরম নেই তারা তাপমাত্রা কমাবে বাংলাদেশের তো কাজ নেই ফালতু টাকা নষ্ট।

Shuvo Islam
অন্য যে শহরে এই প্রজেক্ট সফল হয়েছে, সেই শহরগুলোতে কত ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমানো হয়েছে ?

Sajed Fatemi
বুশরাকে নিয়ে নোংরামি করছেন কেন?
বুশরা আফরিনকে নিয়ে অনেকে খুব বেশি নোংরামি করছেন ফেসবুকে। এই মানুষগুলোর কাজ হলো ‘কান নিয়েছে চিলে’ কথার ওপর ভর করে প্রতিনিয়ত একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা। সঠিক তথ্যটি নিশ্চিত না হয়ে বাতাসে যা শুনলো, তাতেই কান দেয়া। একটি তথ্য শোনা, আর সেই শোনা তথ্যটি নিশ্চিত হওয়াÑ এ দুটোর মধ্যে যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান আছে, এই মানুষগুলো তা যেন ইচ্ছে করেই বুঝতে চায় না। আরে বাবা, কানটা তো দূরে নয়। একবার হাত দিয়ে স্পর্শ করেই দেখুন না, কান সঠিক স্থানে আছে কি নেই !!! সেটা না করে প্রতিনিয়ত অবিবেচকের মতো কথা বলছেন কেন??বুশরা আফরিন গত প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে থেকে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। তাকে এই নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন। পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি তারা এশিয়া মহাদেশ তথা বাংলাদেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করার লক্ষ্যে বুশরা আফরিনকে ‘চিফ হিট অফিসার’ হিসেবে এই নিয়োগ দেয়। প্রতিষ্ঠানটি এর আগে অন্যান্য দেশ থেকে আরও ৭ জন নারীকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছে। নিয়োগটি মোটেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন দেয়নি। তিনি মেয়র আতিকের মেয়ে বলেই কি তাকে নিয়ে এই নোংরামি ???নতুন প্রজন্মের অসামান্য এই তরুণীর প্রতিভা আমি দেখেছি। তিনি দারুণ কথা বলেন। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগে ভীষণ দক্ষ। তার এই নিয়োগ বরং আমাদের দেশের জন্য অনেক গর্বের। যারা মানুষের ভালোটা দেখতে পারেন না, তাদের কথা বাদ। যারা পারেন, তাদের জন্য বলি- নতুন প্রজন্মকে বিদ্রুপ বা তিরস্কার না করে উৎসাহ দিন, প্রশংসা করুন। আপনার প্রশংসা হয়তো বুশরাকে আগামীর ঢাকার পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করতে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দেবে।(আমার লেখা কারও কারও ভালো না লাগতেই পারে। কিন্তু অনুরোধ, কেউ কটূক্তি বা ফালতু কথা বলবেন না)

Mizanur Rahman Khan
সমস্যাটা এখানে নয় সমস্যা হচ্ছে তাকে যারা নিয়োগ দিয়েছে তার মধ্যে উত্তর সিটি কর্পোরেশনও রয়েছে। এবং তার পিতা এর মেয়র। গনতান্ত্রিক দেশে এটিকে conflict of interest বা স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখা হয়। কারণ এই পোস্টে নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে তার পিতার ভূমিকা থাকতে পারে, অথবা এখন কাজ করার সময় পিতার কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। একজন মানুষ যতো যোগ্যই হোক না কেন উন্নত দেশে এ ধরনের স্বার্থের সংঘাত এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা হয় ষ অবশ্য বাংলাদেশে এটা ডাল ভাত ষ এরকম স্বার্থের সংঘাতের ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। তবে কেউ যদি তাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে এবং বিশেষ করে নারী হওয়ার কারণে সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

Tahmina Yesmin
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক কিছুতেই রেগুলেশন লাগবে। আর নতুন পদ সৃষ্টি হওয়া তো সবসময়ই ভালো। কিন্তু ভাবছিলাম পদের নামটা Chief Heat Protection or Reduction officer হলে রোলটা বুঝতে সহজ হতো। যাই হোক, নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিনন্দন!

M Rahaman Mizan
আমার নিউজ ফিড ভরে গেছে চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনকে নিয়ে ট্রলে। বুঝে কিংবা না বুঝে সমানে মানুষ ট্রল করে যাচ্ছে। কিছু কিছু পোষ্টের ভাষা তো রীতিমতো অশালীন। এখনো পর্যন্ত তার যা দোষ পাওয়া গেছে তা হচ্ছে তার পিতা আতিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগ মনোনীত ঢাকা উত্তরের মেয়র। ব্যাস এইটুকুই।
চিফ হিট অফিসার ধারণা একেবারেই নতুন। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশের অনেক শহরে চিফ হিট অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, হচ্ছে। ভাইরে, হিট অফিসারের কাজ খালি গরম কমানো না। পরিবেশ উন্নয়ন, প্রকৃতি রক্ষা, পানি-পঃয় ব্যবস্থাপনা, নগর পরিকল্পনা, বিল্ডিং পরিকল্পনা, নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ আরও অনেক কিছু নিয়ে কাজ করে এই বিভাগ। প্রায় প্রতিটি শহরেই এ ধরনের পোস্টে সাধারণত বাইরে থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়, হায়ার করা হয়। প্রশ্ন আসতে পারে বুশরা কি এই পদের জন্য যোগ্য, কিংবা তার নিয়োগ প্রক্রিয়া কি স্বচ্ছ। যদিও এই প্রশ্নটা এখনো কেও করেনি, যা করা উচিত ছিল।

এবার আসুন, বুশরা আফরিনের যোগ্যতা প্রসংগে। উনি কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে Global Development Studies এ উচ্চতর ডিগ্রী নিয়েছেন। কাজ করেছেন আফ্রিকার ঘাণাতে। বাংলাদেশে প্রাণী অভয়ারণ্য নিয়ে কাজ করছেন বর্তমানে।বুশরা নিশ্চয় টাকার জন্য এখানে কাজ করতে আসেনি। তার বাবার বিশাল গার্মেন্টস সাম্রাজ্য বাদ দিয়ে সে যে ঢাকাবাসীর জন্য কিছু করার চেষ্টা করছে এজন্য তো তারে সাধুবাদ দেওয়া দরকার। হিট অফিসারের কাজ কিন্তু ঘরে বসে করা যায় না। বিরাট একটা সময় তাকে ব্যয় করতে হবে রাস্তা ঘাটে, যা এই বয়সী তার মত ধনীর দুলালীর জন্য কিছুটা বেমানান বটে। সবচেয়ে পজিটিভ দিক হচ্ছে, পিতা মেয়র হওয়ায়, তার পক্ষে যে কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অনেক সহজ হবে, অন্য সবার চেয়ে। তাছাড়া পলিটিক্যাল শেল্টার তো আছেই।আমার তো মনে হয় তাকে নিয়ে আজকের ফেসবুক ট্রলের কারণে সে পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এই বয়সের একটা মেয়ে খুব বেশি চাপ নিতে পারার কথা না। তাকে নিয়ে অশোভন ট্রল করাটা কি খুব বেশি জরুরি। বাঙালির মাথায় যা ঢুকে না, সেইটাই খারাপ।

Omar Farouq
প্রিয় বুশরা আফরিন
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন তোমাকে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ডিগ্রি লাভের জন্য। তোমাকে নিয়ে যা যা হচ্ছে একটা নিয়োগ নিয়ে তা ভালো লাগছে না। আমি তোমার মনের অবস্থা বুঝার বা তোমার মানষিক অবস্থা কি চেষ্টা করছি, মানষিক অবস্থার ভয়াবহতা ভাবতেই মনটা বিষাদে ভরে উঠল। খ্যাতির বিড়ম্বনার শিকার তুমি। তুমি যদি মেয়র সাহেবের কন্যা না হতে হয়ত এভাবে বিষয়টির ব্যাখ্যা হতো না। দুর্ভাগ্য আমরা আমাদের চার পাশ সন্দেহের আবরনে ঢেকে দিয়েছি। নিয়োগ বাণিজ্যে বা নিজস্ব লোক নিয়োগের ফরমুলায় তোমার নিয়োগ নিয়েও কথা হয়। তোমার নিয়োগ কি প্রক্রিয়ায় আমি জানি না। তবে বিশ্বাস করি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিদেশী সংসথায় কতৃক হয়েছে। যদি আমার বিশ্বাস সঠিক হয়, নিয়োগ বিদেশী সংস্থা কতৃক হয় তাহলে কয়েক ধাপে ইন্টারভিউ হয়েছে এটি আমি বলতে পারি। তুমি আমার কন্যাসম তাই বলি দুষ্ট সন্দেহ বাতিক সমাজে তোমাকেই মরে প্রমান করতে হবে তুমি বেঁচে ছিলে। আমার একান্ত/নিজস্ব পরামর্শ তোমার প্রতি : ১। তোমার নিয়োগ কর্তাগনের সাথে তোমার লেখালেখি, ইমেইল কথোপকথন ২। ইন্টারভিউ’র জন্য আমন্ত্রনপত্র ৩। ইন্টারভিউ ৪। সিলেকশন কনফার্মেশন লেটার

৫। নিয়োগপত্র
তোমার এফবিতে বা পএিকায় সহসা প্রকাশ করে বদ মানুষের মুখে কুলুপ এটে দাও। বুঝিয়ে দাও কারো দানে তোমার এ নিয়োগ নয়। তোমার বাবাসম….ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বসুন্ধরা

মে  ০৬, ২০২৩ at ১৫:৫১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেরেইমি/ইর