রেললাইনের দু পাশে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি

রাজধানীর দক্ষিণখানের রেললাইনের আশপাশের দোকান বসিয়ে চাঁদা উঠানোর অভিযোগ উঠেছে।এই সকল অস্থায়ী দোকান হতে প্রতিদিন ১ লক্ষ টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে।

রহিম নামে এক দোকানী বলেন,ফারুক নামে রেলওয়ে পুলিশের একজন লোক আছে উনি প্রতিদিন টাকা তোলেন। টাকা না দিলে দোকান উঠিয়ে দেয় আমরা গরিব মানুষ যে ভাবে তারা বলে তাই করি।

ফলের দোকনী নিজাম উদ্দিন বলে,৩০ হাজার টাকায় এই জায়গাসহ পজিশন কিনেছি। প্রতিদিন ৫০০ টাকা দেই।টাকা না দেওয়ার কারণে সেলিম নামে একজন দোকানীর সরবতের দোকান ফেলেও দেয় এস আই আকবর।ভুক্তভোগী সেলিম পুলিশ হেডকোয়ার্টারে এই বিষয় নিয়ে একটি অভিযোগ করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দক্ষিণখান কসাইবাড়ি হতে ফরিদ মার্কেট, আজমপুর রেললাইনের পাশে থেকে, বিমানবন্দর এলাকা পর্যন্ত ফুটপাতেই রয়েছে প্রায় ২ হাজার হকার। স্থানভেদে এসব দোকান থেকে দিনে চাঁদা তোলা হচ্ছে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। এই হিসেবে প্রতি দিন ১ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। মাস শেষে এর পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।

আরো পড়ুন :
> জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
> ইন্দোনেশিয়ায় ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত, সুনামি সতর্কতা

হকারদের অভিযোগ-ওয়ার্ড কাউন্সিলর নেতা ও পুলিশের নামে তোলা হচ্ছে চাঁদা। তাদের দেওয়া তথ্য ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই চাঁদাবাজি চক্রের মূলে রয়েছেন তিন জন। অভিযুক্তরা রেলওয়ে পুলিশের এস আই আকবর।দক্ষিন খান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইউসুফ,আর এন বির সি আই সিরাজুল।

তবে, অভিযুক্ত ৩ ব্যক্তি চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন কিছুদিন পরপর অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ করার পর তারা আবারও বসে।

এপ্রিল ২৫, ২০২৩ at ১৭:৩৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রই/সুরা