ভূঞাপুরে কলেজে নিয়োগ ছাড়াই বেতন তুলছেন লাইব্রেরিয়ান

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের শমসের ফকির ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ ছাড়াই বেতন উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে সহকারী গ্রন্থাগারিকের বিরুদ্ধে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাক্ষর ছাড়াই বেতনশিট চলে আসে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। তিনি জানান, সেখানে বিগত চার বছর আগে সহ-গ্রন্থাগারিক নিয়োগের পদটি খালি রয়েছে। সেই পদে মার্চ ২০২৩ সালে ফাতেমা খাতুনের নামে বেতন আসে।

জানা যায়, ২০১৯ সালে উপজেলার নিকরাইল শমসের ফকির ডিগ্রি কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগের জন্য জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিলে মোট পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। আবেদনকারীরা হলেন, আমিনা খাতুন, ফাতেমা খাতুন, আনোয়ার হোসেন, এম এ মান্নান ও মো.জুয়েল মিয়া। তাদের মৌখিক পরীক্ষা হয় ২০২১ সালে। সেই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম হন আমিনা খাতুন ও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ফাতেমা খাতুন। এতে আমিনা খাতুনকে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন ডিজি প্রতিনিধি। এ সময় সেই নিয়োগ স্থগিত করেন প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে শূন্য পদটি এনটিআরসির হাতে চলে যায়।

আরো পড়ুন :
> আশুলিয়ায় ঘরে ঢুকে প্যারালাইজড রোগীকে হত্যা
> উত্তরায় বিজিবি মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার জানান, কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ পদটি স্থগিত হয়েছিল। এর আগেও আমি গুঞ্জন শুনেছি এমন কি আমার কাছে দ্বিতীয় হওয়া ব্যক্তি প্রত্যায়নের জন্য এসেছিল। সেখানে আমি প্রত্যাখ্যান করেছি। যে নিয়োগ সর্ম্পকে কোনো কাগজ পত্র নাই এবং কি গভর্নিং বোর্ডের কোনো অনুমোদন নেই। এ ছাড়াও এযাবৎ কালে একদিনও কলেজে আসেনি। কলেজের কোনো কাগজে তার সাক্ষরও নেই। তাহলে সে কীভাবে কলেজের একজন সহকারী লাইব্রেরিয়ানে তার বেতন পান।

তিনি আরও জানান, ব্যাকডেটে অবৈধ নিয়োগের রেজুলেশন নিয়োগ পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বৈধ করার একটা চাপ আছে। তারপরও আমি এগুলো না করায় সহকারী লাইব্রেরিয়ানে ফাতেমা খাতুনের বেতন চলে আসে। এতদিন পর কেমনে সহকারী লাইব্রেরিয়ান ফাতেমা খাতুন আত্মগোপন থেকে বেতনশিট করেন?

গভর্নিং বোর্ডের সদস্য মো.আজিজুল হক মিন্টু ও সাবেক সদস্য আবু তালেব বলেন, সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ যোগদান হয়নি। বিগত তিন বছর আগে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার পর যেটি হওয়ার কথা ছিল, সেটি না হয়ে স্থগিত রাখেন। এখন সেটিকেই বলবদ দেখিয়ে যদি করে। তাহলে এতদিন পর কেন? আমরা প্রতিষ্ঠানের সদস্য হলেও আমাদের কোনো মতামতের মূল্যায়ন নেই ।

শমসের ফকির ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ফকির মাহবুব আনাম স্বপন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয় অতিরিক্ত টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এপ্রিল ১৭, ২০২৩ at ১৫:৪১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মাহামা/ ইর