হাতীবান্ধায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীর মাথা ফাটালেন স্বামী 

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাবার বাড়ী থেকে যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় মারধর করে স্ত্রীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন পাষন্ড স্বামী।
এ ঘটনায় স্ত্রী সেলিনা আক্তার গুরুতর আহত হলে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাবার বাড়ীতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পাষন্ড স্বামী আশিদুল ইসলাম (৩৬) হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগিমারী ইউনিয়নের ধুবনী এলাকার শাহানত আলীর ছেলে।
উক্ত ঘটনায় স্ত্রী সেলিনা খাতুন ন্যায় বিচার চেয়ে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ মামলাটি আমলে না নিয়ে মিমাংসা করে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী ওই নারী।
এজাহার ও সরেজমিনে জানা যায়,ওই ইউনিয়নের সিংগিমারী এলকার বিধবা দৌলতন নেছার মেয়ের সাথে আঠারো বছর আগে বিয়ে হয় আশিদুলের। বিয়ের পর থেকেই আশিদুল যৌতুকের টাকার জন্য অমানুষিক নির্যাতন চালাতো সেলিনার উপর। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সেলিনা তার বিধবা মায়ের বসতবাড়ি বিক্রি করে যৌতুকের একলক্ষ টাকা পাষন্ড স্বামীর হাতে তুলে দেন। এর পর কিছুদিন ভালই চলছিলো তাদের ঘরসংসার। কিন্তু যৌতুক লোভী স্বামী আবারও টাকার জন্য চাপ দিয়ে শুরু করে শারীরিক নির্যাতন। নির্যাতনের একপর্যায়ে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে আশিদুল।সেলিনা গুরুতর অসুস্থ হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে  চার দিন চিকিৎসা শেষে ন্যায় বিচার চেয়ে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী সেলিনা।
এবিষয়ে আশিদুল বলেন, আমার বউকে আমি মেরেছি তাতে আপনাদের কি। তার বাড়ী থেকে  টাকা না দিলে তাকে আরও মারবো।
মামলার তদন্তকারী উপ -পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি সিংগিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিমাংসার জন্য বসবে বলেছে। তিনি আরও বলেন ওই বাদী তো আমার কাছে আর আসেনি তাদের আসতে বলেন বিষয়টি আমি দেখবো।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান আছে দ্রুত আইনি প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।