এক যুগ পর ঝিনাইদহ পৌরসভায় উন্মুক্ত টেন্ডার সিডিউল বিক্রি

টেন্ডারবাজী ও গুপ্তি টেন্ডারের খোলস পাল্টে দীর্ঘ এক যুগ পর ঝিনাইদহ পৌরসভায় প্রকাশ্যে টেন্ডারের আয়োজন করা হয়। রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ অফিসার্স ক্লাবে জণাকীর্ন অনুষ্ঠানে ওপেন টেন্ডারের আয়োজন করেন ঝিনাইদহ পৌর পরিষদ। ওপেন টেন্ডারের কারণে পৌরসভার প্রায় ২৭ লাখ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।

ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়ার কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন, নির্বাহী কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান কাজল, প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম মধু, কাউন্সিলর আবু বক্কর, সাদেক আলী, লিয়াকত হোসেন, ফারহানা রেজা আনজু ও শামসিল আরেফিন কায়সারসহ সাংবাদিক ও টেন্ডারে অংশগ্রহনকৃত ঠিকাদারবৃদ উপস্থিত ছিলেন।

উন্মুক্ত লটারী অনুষ্ঠানে পৌরসভার মেয়ার কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল বলেন, দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর ওপেন টেন্ডারের আয়োজন করে তিনি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন, ৩৫টি গ্রুপে পৌরসভার তালিকাভুক্ত ২২২জন ঠিকাদার এই দরপত্রে অংশ গ্রহন করেন।

অথচ আগে ঠিকাদারের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৪ জন। তিনি বলেন, সফটওয়ারের মাধ্যমে ইজিপি টেন্ডার লটারিতে ঠিকাদারগন কাজ পান। রোববার মোট ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার দরপত্র আহবান করা হয়। এর মধ্যে এক কোটি দুই লাখ টাকা এডিবি থেকে প্রাপ্ত। বাকী টাকা রাজস্ব খাত থেকে বরাদ্দ। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন বলেন, এই টেন্ডারের মাধ্য ঝিনাইদহ পৌর এলাকার রাস্তা, ড্রেন ও কালভার্ট মেরামত করা হবে।

আরো পড়ুন:
>Congratulation ও congratulations এর মধ্যে কোনটি সঠিক?
>মহম্মদপুরে অপরিকল্পিত হাট বাজার যানবাহনসহ জনসাধারণের দূভোর্গ ও দূর্ঘটনার কারণ

অভিযোগ রয়েছে প্রায় এক যুগ ধরে ঝিনাইদহ পৌরসভায় কোন উন্মুক্ত টেন্ডার হয়নি। একটি সিন্ডিকেট গোপন টেন্ডারের আয়োজন করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত করেছে। পৌরসভা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুষ্টিমেয় কিছু ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার কাজের মান ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল বলে অভিযোগ।

ফেব্রুয়ারি ২৬.২০২৩ at ১৯:০৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/এসআর