মার্চের প্রথম সপ্তাহে আসবে আদানির বিদ্যুৎ

ছবি- সংগৃহীত।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে দেশে ভারত থেকে আদানির বিদ্যুৎ আসবে। আন্তর্জাতিকভাবে আদানি নিয়ে যে বিতর্ক আছে, এক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তিনি এসব কথা জানান। বললেন, সেচ মৌসুম ও গরমের কারণে মার্চে বিদ্যুতের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আদানির বিদ্যুৎসহ আরও কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আদানির বিদ্যুৎ মার্চেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। দাম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এ বিদ্যুতের দাম পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে বেশি হবে না।

এপ্রিলে আদানির দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আসার কথা জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে- তার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা প্রতিযোগিতামূলক বাজার দরেই বিদ্যুৎ পাব। এ নিয়ে কোনো সংশয়ের সুযোগ নেই। মার্চে প্রথম ইউনিট থেকে আসবে ৭৫০ মেগাওয়াট। এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আসবে আরও ৭৫০ মেগাওয়াট।

তিনি বলেন, সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আমাদের বেশকিছু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। রামপাল এসেছে, এসএস পাওয়ার আসবে, বরিশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র আসবে। সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নিয়েছি, সেচ মৌসুম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

আরো পড়ুন:
>পাইকগাছায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা দুরজাহান গাজীর দাফন সম্পন্ন
>ভাসুর কতৃক শ্বাসরোধ করে তাজমিরা হত্যাকাণ্ডে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগ ও আদানি পাওয়ারের মধ্যে একটি ক্রয় চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় আদানি ঝাডখণ্ডে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। সেই বিদ্যুৎ দেশে এনে জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে বিশেষ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ০৫.২০২৩ at ১৮:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/মম/এসআর