হলুদ চাদরে ঢাকা ঘোড়াঘাটের মাঠ

প্রকৃতির ষড় ঋতুর এই দেশে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যেমনি প্রকৃতির রূপ বদলায়, তেমনি বদলায় ফসলের মাঠ। এখন হলুদ চাদরে ঢাকা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মাঠ। মাঠ জুড়ে এখন হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। দুচোখ যেদিকে যায়, সে দিকে শুধু মন জুড়ানো সরিষা ফুলের দৃশ্য। গাঢ় হলুদ বর্ণের সরিষার ফুলে ফুলে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের জন্য গুনগুন করছে। চলছে মধু আহরণের পালা।

মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে মাঠে নেমেছে। শীতের শিশির সিক্ত মাঠভরা সরিষা ফুলের গন্ধ বাতাসে ভাসছে। মানুষের মনকে পুলকিত করছে। সরিষার খেতগুলো দেখে মনে হয় কে যেন হলুদ চাদর বিছিয়ে রেখেছে। এখন শুধু দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য শোভা পাচ্ছে। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি সপ্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়াঘাট উজেলায় এ বছর ২ হাজার ২০০হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন কৃষকেরা।

গত বছর চাষ হয়েছিল ১হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গা, নারায়ণপুর, রামপাড়া, সাতপাড়া, গোবিন্দপুর, গুাগাছী, ঘনকৃঞ্চপুর, মারুপাড়া, ভর্নাপাড়া, চাঁদপাড়া, কুমুরিয়া, রামনগর, খাইরুল, বুলকীপুর ইউনিয়নের, কৃঞ্চরামপুর, জয়রামপুর, কলাবাড়ী, বিন্যাগাড়ী, রঘুনাথপুরসহ উপজেলার ও বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠ জুড়ে হলুদে ছেয়ে গেছে।

উপজেলার ভর্নাপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আফতাব উদ্দিন বলেন, সরিষা চাষে খরচ কম,লাভ বেশি হওয়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমি ১ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। আশা করছি এবার সরিষা চাষে লাভবান হতে পারব। সরিষা তেল শলীরের পক্ষে খুব উপকারি। তেল, বীজ, মধুর পাশাপাশি সরিষা থেকে উন্নত গো-খাদ্যও তৈরি হয়। উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি ্অফিসার মো. মোমদেল হোসেন বলেন, সরিষা প্রধানত আবাদ হয় দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটিতে তথা বিশেষ করে নদী বিধৌত এলাকায়।

আরো পড়ুন :
>লালপুরে র‌্যাবের পৃথক অভিযানে দুইজন আটক
>ঘোড়াঘাটে প্রচন্ড শীতে কাহিল ছিন্নমূল ও শ্রমজীবি মানুষ

কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে দু-একটি চাষ বা বিনা চাষেই জমিতে ছিটিয়ে সরিষা বীজ বপন করা হয়। সেচ ও সার লাগে কম তা ছাড়া সরিষার পাতা একটি উৎকৃষ্ট জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তেল, বীজ, মধুর পাশাপাশি কৃষকরা সরিষা থেকে উন্নত গো-খাদ্যও তৈরি করতে পারবে বলে আশাবাদী কৃষি সপ্রসারণ অধিদফতর।উপজেলা কৃষি অফিসার মো. এখলাস হোসেন সরকার বলেন, সরিষা প্রধানত আবাদ হয় দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটিতে তথা বিশেষ করে নদী বিধৌত এলাকায়।

কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে দু-একটি চাষ বা বিনা চাষেই জমিতে ছিটিয়ে সরিষা বীজ বপন করা যায়। সেচ ও সার লাগে কম তা ছাড়া সরিষার ঝরে পড়া পাতা ফুল একটি উৎকৃষ্ট জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সরিষা চাষে খরচ কম হওয়ার কারণে সরিষা চাষ করে খুবই লাভবান হওয়া যায়। সরিষা থেকে ভালোমানের তেল উৎপাদন হয়। সরিষা থেকে তৈরী খৈল গরুর খাদ্য হিসেবে খাওয়ানো হয়। এতে প্রচুর পুষ্টি থাকে।

আরো পড়ুন :
>লালপুরে র‌্যাবের পৃথক অভিযানে দুইজন আটক
>ঘোড়াঘাটে প্রচন্ড শীতে কাহিল ছিন্নমূল ও শ্রমজীবি মানুষ

এবার ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।গতবার সরিষা চাষ করা হয়েছিল ১ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে। এ মৌসুমে ১ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে বেশী সরিষা চাষ হয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে এ বছর উপজেলার সকল প্রান্তিক চাষিদের সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজ সরিষার বীজ, সার, বিনামুল্যে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার উৎপাদন রেশী এবং ফলন ভালও হবে।

জানুয়ারি ১৭.২০২৩ at ১৫:০৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর