দিনাজপুরে ঘুর্ণিঝড়ে আশ্রয়নের ঘরসহ শতাধিক বাড়ি পাশে শিবলী সাদিক এমপি

দিনাজপুরের বিরামপুর,হাকিমপুর ও নবাবগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে বাড়িঘর, গাছপালা এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়নসহ প্রায় শতাধিক বাড়ি ঘরের টিন উড়ে গেছে। এতে দুর্বিষহ জীবনযাপন করেছেন ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে রয়েছেন  সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক  ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে শুকনো খাবার, টিন এবং নগদ অর্থ সহায়তা করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পেয়ে ঢাকায় অবস্থানরত দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইফ এ আসেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে জেলা প্রশাসক এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এছাড়াও নিজ তহবিল থেকে প্রতিটি পরিবারকে ৫০০০ টাকা, সরকারি এক বান্ডিল ঢেউটিন, সরকারি ৩০০ টাকা, কিছু চাল, রান্না করা খাবার ও শুকনো খাবার এর ব্যবস্থা করে দেন। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এমপি শিবলী সাদিক।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই এলাকায় মুসুল ধারে বৃষ্টি শুরু হয়।  দুপুরে হঠাৎ করে বৃষ্টির সাথে শুরু হয় ঘুর্ণিঝড়।ঘুর্ণিঝড়ে হাকিমপুর, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকায়  শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দুপুরে প্রবল বৃষ্ট ও ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে এই বাড়িগুলো ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে বিরামপুর দিওড় এলাকার বাঁশবাড়িয়া আশ্রায়নসহ ২৮টি ,নবাবগঞ্জের বিনোদনগর ও গোলাপগঞ্জ এলাকার শতাধিকের অধিক এবং হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার ৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হাকিমপুর হিলির সাঁতকুড়ি, মংলা ও মাহলীপাড়ায় ঘূর্ণিঝড়ে বসত বাড়ির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিরামপুরের দিওড় ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের টিনের ছাউনি ঝড়ে লন্ড ভন্ড হয় ও নবাবগঞ্জের সীতা কোট এলাকায় বসত বাড়ির টিনের ছাউনি ঝড়ে উড়িয়ে যায়।

মুসুলধারে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙ্গে গেছে ও উপড়ে পড়ে গেছে বৈদ্যুতিক সংযোগের বেশ কিছু পোল।ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখে পল্লী বিদ্যুৎ।

বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে বাড়ি ঘর, দোকান ঘর ,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর গাছের ডালপালা ভেঙ্গে ও উপড়ে পড়ে ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। খাবার এর চাল ডাল থাকলেও রান্না করতে না পারায় তারা ক্ষুধার্ত রয়েছে। কষ্ট করে মিলছে মানুষের খাবার মিলানো গেলেও যাচ্ছে না গবাদি পশুর খাবার।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে বিরামপুর উপজেলার আশ্রয়নের চারটি বাড়িসহ বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে। এছাড়াও কিছু এলাকার গাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

হাকিমপুর উপজেলার খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়ের চেয়ারম্যান কাওসার রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের সাঁতকুড়ি ও মংলা মাহলীপাড়ায় ১৬ টি পরিবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় সরজমিনে দেখেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলেছেন সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

ঘর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন দিনাজপুর-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি।

তিনি বলেন, আমার সংসদীয় আসনের তিনটি উপজেলায় হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে অনেক বাড়িঘর, গাছপালা এবং ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সব ধরণের সহযোগীতা করা হবে। পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও তাদেরকে আরোও সহযোগীতা করবো।   3

দেশদর্পণ/সুআ/মাউআমা/ইর