ঘোড়াঘাটের সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ভারতে নয় কারাগারে

মেডিকেল কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা মামলার অন্যতম আসামী দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩ নং সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ভারতে নয় কারাগারে আটক রয়েছেন। গত ২৭/১১/২০২২ইং তারিখে ঢাকার এক আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে আটক হন তিনি ।তার পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভারতে চিকিৎসার কথা বলা হলেও তিনি এখন হাজত বাস করছেন। সিআইডি ঢাকা সাইবার ইনভেস্টিগেশনস এন্ড অপারেশনস, সাইবার পুলিশ সেন্টার, বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডি, ঢাকা শাখার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমার ধানমন্ডী মডেল থানায় করা মামলার এজাহারে জানা যায়,মেডিকেল কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মামলা ৪৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়।

৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) প্রস্তুত হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে উঠে আসা ৪৪ জনের ১৪ জনই চিকিৎসক এবং দুজন মেডিকেল কলেজের ছাত্র। আসামীরা হলেন-১। জসমি উদ্দনি ভ‚ইয়া মুন্নু (৪৫), পিতা- মৃত-মো. সাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া, সাং-খানবানয়িারা, উপজলো-সিংগাইর, মানকগিঞ্জ, বাংলাদশে ২। মো. আব্দুস সালাম খান (৫৯), পিতা- আব্দুস সামাদ খান, সাং- তালেবপুর, উপজেলা, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ।৩। শাহাজাদী আক্তার @ মীরা (৪৮), পিতা-শাহবুদ্দনি ভূঁইয়া, স্বামী মো. আলমগীর হোসেন উপজেলা, মিরপুর।৪। মোহাম্মদ ময়েজ উদ্দিন আহমেদ প্রধান (৪৬), পিতা- মোহাম্মদ আব্দুল হক প্রধান, পূর্ব রাজাবাজার, উপজেলা, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা, ৫।

শারমীন আরা জেসমিন @ শিল্পী (৩৬), পিতা- মোঃ শমশের আলী, স্বামী জসীম উদ্দনি ভ‚ঁইয়া মুন্নু উপজলো শাহআলী, ঢাকা। ৬। মোহাম্মাদ আব্দুস ছালাম (৪২) পিতা- মোহাম্মাদ জাবেদ আলী, উত্তর সিটি কপোরেশন। উপজেলা তুরাগ, ঢাকা । ৭। রাশদে খান মেনন (৩৭), পিতা- নুরুল ইসলাম খান, সাং-আঙ্গারিয়া, উপজেলা পালং মডেল থানা (সদর), শরীয়তপুর । ৮। এম এইচ পারভেজ খান (৩৩), পিতা – মৃত-মোগল হোসেন খান, সাং-খানবানিয়ারা, উপজেলা সিংগাইর, মানিকঞ্জ।৯। ডা.জেড এম এস সালেহীন শোভন (৪২), পিতা- জেহাদুল উপজেলা- মতিঝিল ঢাকা।১০। জাকির হাসান, পিতা- মো. আবু তাহের ভূঁইয়া, উপজেলা-শাহআলী, ঢাকা, (১১) মো. আলমাস হোসেন শেখ (৩৯), পিতা- আব্দুর সাত্তার শেখ সাং-ফকিরপাড়া, উপজলো- দিনাজপুর সদর, (১২)মো. সাজ্জাদ হোসেন (৪২), পিতা- মো. আব্দুল মান্নান মন্ডল, সাং-সিংড়া, উপজলো ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর, ১৩। মো. আলমগীর হোসেন(৬২), পিতা- আনছার উদ্দিন, উপজেলা-মিরপুর।

আরো পড়ুন:
>মদনে মামা ভাগ্নে সংঘর্ষে আহত ১০
>সিলেটে ২৮ মাস বয়সী শিশুকে বাচাতে এক বাবার সাহায্যের আবেদন
>চুয়াডাঙ্গার পাশাপাশি যশোরেও আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

১৪। সোহেলী জামান (৩৭),স্বামী- ময়েজ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা- তেজগাঁও, ঢাকা, সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০/৪০ জনকে জড়িত থাকার অভিযোগে আসামি করা হয়েছে। প্রশ্নফাঁসকারী চক্ররে প্রধান হোতা জসমি উদ্দনি ভ‚ইয়া মুন্নু এর ঘনিষ্ট সহযোগী মোঃ আলনাস হোসনে শেখ ও অপর গুরুর্ত্বপ‚ণ আসামি সাজ্জাদের ভর্তি পরীক্ষার মৌসুমে ঢাকায় এসে জসিমের সঙ্গে মিটিং করতো এবং ফাঁসকৃত প্রশ্ন পত্র মোটা অংকে কিনে সেগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করতো। এমনকি ২০১৫ সালে জসীম তার অপর সহযোগী ঢাকার ডিও্রএইচএস একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়, সে দিন কিছুক্ষণ আগেও আলমাস এবং সাজ্জাত ওই বাড়িতে ছিল। তারা প্রশ্ন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পর্রবতীতে আলমাস ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামি সানোয়ার আলমাসের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁস এবং অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। প্রশ্নফাঁসের টাকায় আলমাস দিনাজপুরে আরডিএফ নামে একটি এনজিও গড়ে তুলেছেন। মোঃ আলমাস হোসেন শেখ এর নামে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ২টি ব্যাংক হিসাব পাওয়া যায়। ২ টি ব্যাংকে ১৪/১০/২০১০ইং থেকে ০৫/০৯/২০২০ইং পর্যন্ত মোট ৫৮,৫৫,৬৮০.৫০/- (আটান্ন লাখ পঞ্চান্ন হাজার ছয়শত আশি টাকা পঞ্চাশ পয়সা) বিভিন্ন সময় জমা করে মোঃ আলমাস হোসেন শেখ এবং ৫৮,৫৫,২৬৯.৫ /- (আটান্ন লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার দুইশত ঊনসত্তর টাকা পঞ্চাশ পয়সা) টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর করে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের প্রধান হোতা জসিম উদ্দিন মুন্নু এর ঘনিষ্ট সহযোগী মে ২০১৮ সালে মেডিকেলে প্রশ্নফাসে র্যাবের করা একটি মামলারও এজহারনামীয় আসামী। গুরুত্বপুর্ণ আসামি আলমাসের ভর্তি পরীক্ষার মৌসুমে ঢাকায় এসে জসিমের মিটিং সঙ্গে করতো এবং ফাঁসকৃত প্রশ্ন মোট শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করতো। এমনকি ২০১৫ সালে জসীম তার অপর তিন সহযোগীসহ ঢাকার ডিও এস এইচর এক বাসায় গ্রেফতার হয়। সে দিন কিছুক্ষণ আগেও আলমাস এবং সাজ্জাত ওই বাড়িতে ছিল। ছল। তারা প্রশ্ন নিয়ে আগেই বের হয়ে যায়। আসামি সানোয়ার সাজ্জাদের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁস এবং অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত জবানবন্দী দিয়ে ছিল বিজ্ঞ আদালতে । মোঃ সাজ্জাত হোসেনের এর নামে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৬টি ব্যাংক হিসাব পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন:
>মদনে মামা ভাগ্নে সংঘর্ষে আহত ১০
>সিলেটে ২৮ মাস বয়সী শিশুকে বাচাতে এক বাবার সাহায্যের আবেদন
>চুয়াডাঙ্গার পাশাপাশি যশোরেও আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

৬টি ব্যাংকে হিসাবে ৩১/১২/২০০৬ ইং থেকে ২২/১১/২০২০ইং. পর্যন্ত মোট ৩৪,৫১,৩১৭.৯৪/- (চৌত্রিশ লক্ষ একান্ন হাজার তিন শত সতের টাকা চুরানব্বই পয়সা) জমা কর। পর্রবতীতে মোঃ সাজ্জাত হোসনথেসািব নং থেেক ৩৪,৪৯,৬২৭.২৭ /- (চৌত্রশি লক্ষ ঊনপঞ্চাশ হাজার ছয়শত সাতাশ টাকা সাতাশ পয়সা) টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর কর। চক্রের হোতারা ২০০৬ ক্স থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মেডিকেল কলেজের অন্তত পাঁচ বছরের প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ৯৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিপুল অর্থ ও সম্পদের মালিক হয়েছেন। যদিও তাদের প্রাক্কলিত সম্পদের বাজার বা প্রকৃত ম‚ল্য এর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি।

সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রিন্টিং প্রেস থেকে ২০০৬, ২০০৯, ২০১১, ২০১৩ ও ২০১৫ সালের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন প্রেসের তৎকালীন মেশিনম্যান আবদুস সালাম খান। সেই ফাঁস করা প্রশ্ন তিনি ও তার খালাতো ভাই জসীম বিভিন্ন কোচিং সেন্টার এবং নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এভাবে যোগ্যতা না থাকা সত্তেও শত শত শিক্ষার্থী টাকার বিনিময়ে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে ইতোমধ্যে চিকিৎসক বনে গেছেন। ব্যাংক লেনদেনের ক্স তথ্য, গ্রেফতার আসামিদের জবানবন্দি, উদ্ধার গোপন ডায়েরি ও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে মেলে চক্রটির ৪৪ জন সদস্যের খোঁজ।

এদের মধ্যে চিকিৎসক, শিক্ষক, ব্যাংকার, কোচিং সেন্টারের মালিক, শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ নেতা ও আবাসন ব্যবসায়ী রয়েছেন। এই ৪৪ জনকে অভিযুক্ত করে শিগগিরই আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিআইডি। এর আগে সালাম, জসীমসহ চক্রের ১৪ জনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলাটি করেন সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত তদারক কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘মামলার তদন্তের প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই গুছিয়ে এনেছি। এখন শেষ মুহুর্তের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।

শিগগিরই আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। যাদের সম্পৃক্ততা মিলেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রিন্টিং প্রেসের মেশিনম্যান আবদুস সালাম খান ও তার খালাতো ভাই জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ওরফে মুন্নু, জসিমের স্ত্রী শারমিন আরা জেসমিন, বড় বোন শাহজাদি আক্তার ওরফে মিরা, দুই ভাই জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মুক্তার ও মোস্তফা ভূঁইয়া, তার দুই ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেন ও জাকির হোসেন, ভায়রা সামিউল জাফর ওরফে সিটু এবং ভাতিজা এম এইচ পারভেজ খান ছাড়াও এ চক্রে আরও ৩৪ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে সিআইডি, যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি হচ্ছে। বাকি ৩৪ জনের মধ্যে রয়েছেন- ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা ‘চক্ষু চিকিৎসক ও ফেইথ কোচিং সেন্টারের পরিচালক মুহাম্মদ ময়েজ উদ্দিন আহমেদ প্রধান, তার স্ত্রী ডা. সোহেলী জামান ও বড় ভাই বোরহান উদ্দিন, শরীয়তপুরের ব্যবসায়ী রাশেদ খান মেনন।

আরো পড়ুন:
>মদনে মামা ভাগ্নে সংঘর্ষে আহত ১০
>সিলেটে ২৮ মাস বয়সী শিশুকে বাচাতে এক বাবার সাহায্যের আবেদন
>চুয়াডাঙ্গার পাশাপাশি যশোরেও আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

মুগদা মেডিকেলের চিকিৎসক জেড এম এস সালেহীন শোভন, দিনাজপুরের একটি এনজিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলমাস হোসেন শেখ, কলেজশিক্ষক সাজ্জাত হোসেন ও শহীদুল ইসলাম সুজন, আবাসন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ও রওশন আলী হিমু, ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মোতাহার হোসেন, চিকিৎসক নূর আলম রনি, সাবেক টিঅ্যান্ডটি কর্মকর্তা আবদুস সাদেক হাওলাদার, মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আল মামুন, একটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী শাকির আহমেদ, টাঙ্গাইলের এভিস কোচিং সেন্টারের পরিচালক কাওছার আহমেদ ও উজ্জ্বল সরকার, টাঙ্গাইলের চিকিৎসক ইমরুল কায়েস হিমেল ও তার বাবা স্কুলশিক্ষক আবদুল কুদ্দুস সরকার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসক মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ, পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক জিল­ুর হাসান রনি, জসীমের ড্রাইভার নওগাঁর নজিপুরের মাসুদ রানা, খুলনা মেডিকেল কলেজের ছাত্র টাঙ্গাইলের নাফিস হাসান রোজ, ঢাকার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের পরিচালক ডা. কে এম বশিরুল হক, খুলনা থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের পরিচালক ডা. ইউনুচ উজ্জামান খান তারিম,মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ক্যাশিয়ার আবদুল লতিফ আকন্দ, স্যার সলিমুল­াহ মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা চিকিৎসক মো. রুবেল, জসীমের ম্যানেজার মো. মাহমুদুন নবী মজনু, কিশোরগঞ্জের কোচিং ব্যবসায়ী আবু রায়হান, চিকিৎসক কোরবান আলী রনি, মেডিকো কোচিং সেন্টারের পরিচালক ইব্রাহীম খলিল উল­াহ রনি।

ব্যাংক এশিয়া থেকে চাকরি হারানো কর্মকর্তা এস এম আহমেদুল হক মনন এবং তার স্ত্রী ডা. তানিয়া রহমান, জসীমের কর্মচারী নিতাই কুমার বিশ্বাস ওরফে প্রকাশ এবং জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সোলায়মান হোসেন মেহেদী। এরা পারস্পরিক যোগসাজশে ডেন্টাল ও মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতেন। বিপুল সম্পদ ও অর্থের খোঁজ : জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মুন্নু ও তার স্ত্রী শারমিন আরা জেসমিনের ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া জসীম দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৩২টি দলিলে প্রায় ১৩ একর জমি কিনেছেন, যার বাজারম‚ল্য ১৫ কোটি টাকার বেশি। ঢাকার মিরপুরে ‘পৃথ্বী ভিলা’ ও ‘শাম্মী মঞ্জিল’ নামে জসিমের দুটি বাড়ি রয়েছে, যার আনুমানিক বাজারম‚ল্য ৩ কোটি টাকা।

আরো পড়ুন:
>মদনে মামা ভাগ্নে সংঘর্ষে আহত ১০
>সিলেটে ২৮ মাস বয়সী শিশুকে বাচাতে এক বাবার সাহায্যের আবেদন
>চুয়াডাঙ্গার পাশাপাশি যশোরেও আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

এ ছাড়া ঢাকার মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে ১৯.৬ কাঠার আয়তনের জসিমের মোট চারটি জমির প্লটের সন্ধান পাওয়া যায়, যার বাজারম‚ল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া জসিমের মায়ের নামে পাঁচটি দলিলে ১.৬৫ একর জমির সন্ধান পাওয়া যায়। এর বাজারম‚ল্য ৫ কোটি টাকারও বেশি। স্ত্রীর নামে ছয়টি দলিলে ২.৮৬ একর জমি কিনেছেন, যার বাজারম‚ল্য ১০ কোটি টাকারও বেশি। এ ছাড়া মিরপুর ও সাভারে ছয়টি দলিলে তার ১৩.১৯০৬ একর জমির সন্ধান পাওয়া যায়, যার দলিলম‚ল্য ২০ কোটি টাকা হলেও বাজারম‚ল্য ৩০ কোটি টাকারও বেশি।

জানুয়ারি ০৮.২০২৩ at ১৭:২০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এমএইচ