কুবিতে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত-বিএনপির ছত্রছায়ায় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদের (ওমর-জাহিদ) অংশ। বৃহস্পতিবার ( ১লা ডিসেম্বর) বেলা একটার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য জামায়াত-বিএনপির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনেন। তাদের ভাষ্য, সারাদেশের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে বিএনপি-জামায়াতের মদদ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষকদের যে মুখোমুখি অবস্থান এর পেছনে এঁরাই দায়ী।

এবিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ একাংশের সভাপতি প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি জামাত জোট বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। তাদেরই আলোকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে ও কলংকিত করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালিত হয় কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ দ্বারা। এখানে তথাকথিত নীল দলের যে বঙ্গবন্ধু পরিষদ রয়েছে তাদের কোন নিবন্ধন নেই।প্রফেসর ড. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমান উপাচার্যের নেতৃত্বে যখন বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখই বিভিন্ন মহল থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়কে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য।

আরো পড়ুন:
>আজ ব্রাজিলের মুখোমুখি ক্যামেরুন
>রাত জেগে খেলা দেখছেন?
>পোশাক রপ্তানিতে আবারও দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ

উল্লেখ্য, ২৯ নভেম্বর পূর্বের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী (সাইদুল- মুর্শেদ) সমর্থিত গ্রুপ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও অন্যপক্ষ কাজী ওমর ও জাহিদ সমর্থিত গ্রুপের অভিযোগ নির্বাচন কোথায় অনুষ্ঠিত হবে এবিষয়ে অবগত করা হয়নি। এতে শিক্ষকরা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসলেও নির্বাচনে যারা অংশ নেয়নি তারা বাঁধার সৃষ্টি করেছে। এই কারণে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলার কথা থাকলেও হট্টগোলের কারণে একটি ভোটও নিতে পারেননি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কেন্দ্রে শিক্ষকরা ভোটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকলেও ওমর-জাহিদ গ্রুপের নেতারা দরজা অবরোধ করে রাখলে নির্বাচন কমিশনারের সিদ্ধান্তে ভোট কার্যক্রম স্থগিত হয়।

ডিসেম্বর ০২.২০২১ at ১১:১৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর