শার্শার কিশোর সাকিব হত্যা মামলা, আসামির আদালতে স্বীকারোক্তি

যশোরের শার্শার গোগা গ্রামের কারিকরপাড়ার ইজিবাইক চালক কিশোর সোলাইমান সাকিব হত্যা মামলায় আরো এক আসামিকে আটক করেছে পিবিআই। আটক বিপ্লব হোসেন চৌগাছা উপজেলার দক্ষিন সাগর গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে।

শনিবার বিকেলে যশোর শহরের পালবাড়ি মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর রোববার আদালতে সোপর্দ করা হলে বিপ্লব হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে, একইদিন মামলার অপর আসামি ঝিরকগাছার চান্দেরপোল গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মোল্যার ছেলে আসামি মনিরুল ইসলামের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত আসামি মনিরুল ইসলাম ঝিরকগাছার চান্দেরপোল গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মোল্যার ছেলে।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল আসামির রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নিহত সাকিবের নানা আকবার আলী ইজিবাইক চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করেন। তার মেয়ে মনোয়ারা খাতুনের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর তার ছেলে সাকিব নানা বাড়ি থেকে লেখাপড়া করত। সাকিব মাঝেমধ্যে তার নানার ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ায় চালাত।

আরো পড়ুন :
বগুড়া কাহালুতে ইউএনও’র অভিযানে ফুটবল খেলা ভন্ডুল
অবশেষে দৌলতপুরের সেই চার পরিবার বুঝে পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি

১৭ জানুয়ারি সাবিক নানার ইজিবাইকে যাত্রী নিয়ে বাগআঁড়া যায়। সন্ধ্যায় সাকিবকে তার নানা ইজিবাইক নিয়ে দ্রুত বাড়ি চলে আসতে বলে। রাত বেশি হওয়ায় সাকিবের মোবাইলে কল দিলে বন্দ পাওয়া যায়। রাতে অনেক খোঁজাখুজি করে সাকিবকে উদ্ধারে ব্যথ হয় স্বজনেরা।

পরদিন সকালে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে উলাশীর বড়বাড়িয়া মাঠের কুল বাগানের পাশ থেকে সাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাকিবকে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি নিয়ে যায় দূর্বত্তরা। এব্যাপারে নিহত সাকিবের নানা অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই রেজোয়ান হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক ও ইজিবাইক উদ্ধার করেন। ২০ জানুয়ারি আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে দুই জন হত্যা ও চোরাই ইজিবাইক কেনার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।

এদিন আটক মনিরুলের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আদেন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামি মনিরুলের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক রোববার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই দিন আসামি বিপ্লবকে আটকের পর একই আদালতে সোপর্দ করলে সে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।

জানুয়ারি ২৩.২০২১ at ২২:৪০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শজ/রারি