ভাইয়ের স্ত্রীর উপর অভিমানে প্রার্থী হারলেন দুই ভাই

৫ম ধাপে মাদারীপুর শিবচর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে শেষ পর্যন্ত দুই ভাই পরাজিত হয়েছেন।

উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন বন্দরখোলা ইউনিয়নের বড়খাস এলাকার মৃত হারুন শিকদারের ছোট ছেলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ নবেল শিকদার এবং বড় ছেলে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রশিদ শিকদার।তবে বড় ভাইয়ের তুলনায় বেশি ভোট পেয়েছেন ছোট ভাই।

এদিকে একই পদে আপন দুই ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছিল।তবে পারিবারিক সমস্যা থেকে অভিমান করে দুই ভাই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিষয়টি নিয়ে কৌতূহল ছিলো এলাকাবাসীর মধ্যে।

এলাকাবাসীরা জানান, এই নির্বাচনে অনেক আগে থেকেই প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত ছিল ছোট ভাই নোবেল শিকদার।হঠাৎ করেই ছোট ভাইকে হারাতে আপন বড় ভাই মিজান শিকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন একই পদে। তবে ইউনিয়নে নোবেল শিকদারের জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা বেশি। অন্যদিকে মিজান শিকদার শুরু থেকেই প্রচারণায় পিছিয়ে ছিলেন।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯ টার দিক উপজেলা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী অডিটরিয়ামে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাকসুদুর রহমান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।তাতে দেখা যায়, আনারস প্রতীক নিয়ে ছোট ভাই মোহাম্মদ নবেল শিকদার পেয়েছেন ১ হাজার এক ভোট এবং তার বড় ভাই মো. মিজানুর রশিদ শিকদার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৭ ভোট।

আরো পড়ুন :
হাসপাতালে ধুকছে শিশু সামিয়া, সামিয়াকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন
নড়াইলে ধর্ষণের দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন

মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রশিদ শিকদার বলেন, আমার বড় ভাইয়ের প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ নেই। আমাদের পারিবারিক কিছু সমস্যা থাকায় অভিমান থেকেই আমি প্রার্থী হয়েছি।ভাইয়ের স্ত্রীর ওপর আমার খুব অভিমান ছিলো এর বেশি কিছু আমি বলেতে চাই না।

বিষয়ে জানতে তার ছোট ভাই নবেল শিকদারকে একাধিকবার ফোন করলেও পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীদের অনেকেই বলেছেন, নবেল শিকদার তার বড় ভাইকে অনেকবার অনুরোধ করেছেন যেন নির্বাচনে না দাঁড়ান।তবে তাদের পারিবারিক সমস্যার কারনেই শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করেন দুই ভাই।”

উল্লেখ, বন্দরখোলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ. রহমান সাদ্দাম খান ঘোড়া প্রতীকে ৩ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আহমেদ অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৫১৫ ভোট।নির্বাচনে অন্য প্রার্থী ফয়জল খান (চশমা প্রতীকে) তিনি পেয়েছেন ১০২ ভোট ওমোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম (টেলিফোন প্রতীকে) পেয়েছেন ৬৭৩ ভোট।

জানুয়ারি ০৬.২০২১ at ১৫:৩৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমদেহো/রারি