ঘোড়াঘাটে ব্যবসায়ী রনির বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যান কবিরুলের বিক্ষোভ ও মানবন্ধন

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ব্যবসায়ী মো. মিনহাজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ২নং পালশাইউপি চেয়ারম্যান মো. কবিরুল ইসলাম, বিক্ষোভ ও মানবন্ধনসহ সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। ৫ নভেম্বর শুক্রবারসন্ধায় ২নং পালশা ইউনিয়েনর সামনে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধন শেষে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ব্যবসায়ী মিনহাজুল ইসলাম রনির করা মিথ্যা চাঁদা দাবী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও অর্থ লুটের সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলনও করেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত বক্তবে জানান, আমি ও আমার ছোটভাই মো. নাদিরু ইসলামের নামে গত ০৫-০২-১৯৯১ইং সালে দক্ষিণ দেবীপুর মৌজায় ২২৭ নং দাগে ৪০৮নং দলিল মুলে ও ৩০৪ নং দলিল মুলে ক্রয় করে উক্ত স্থানে মার্কেট নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। ভাড়াসহ নিজে ব্যবসাকরে আসছি। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পশ্চিমপার্শ্বে সিমানা প্রাচীর রয়েছে। এ অবস্থায় নুপুর গ্রামের মিনহাজুল ইসলামের পিতা আ. সামাদ মন্ডল আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পশ্চিমপার্শ্বে জনৈক ব্যক্তির নিকট থেকে জমি ক্রয় করে।

২০০৫সালে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিমানা প্রাচীর ঘেসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মানের সময় আমি বাধা দিলে সে সময় আমাদের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। হঠাৎ আ. সামাদ মন্ডলের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম রনি এ মতাবস্থায় আমার নিকট মোটাংকের চাঁদা দাবীসহ আমার মার্কেট জবর দখলের হুমকী দেয়। জায়গা দখলের হুমকী ব্যাহত রাখে। চাঁদা দাবীর টাকা না দেয়ায় গত ৩১অক্টোবর সন্ধ্যায় আমার সিমানা প্রাচীরের উপর দ্বিতলভবনের পিলারের নির্মান কাজ শুরু করে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান আমার ছেলে আরিফুল ইসলাম বাধা দিলেতাকে প্রান নাশসহ বিভিন্ন হুমকী দেয়। আরিফুল ইসলাম ও আমার দোকানের ম্যানেজার তারা প্রাণের ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় রনি দোকানের ড্রয়ার থেকে টাকা ও বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। আমার ছেলে আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছে। তা তদন্তাধীন রয়েছে। ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় মিনহাজুল ইসলাম রনি নিজেই অর্ধ নির্মিত পিলারটি ভেঙ্গে দেয়।

আরো পড়ুন:
পাইকগাছার কপিলমুনিতে ডোবা থেকে অজ্ঞাত যুবকের উলঙ্গ লাশ উদ্ধার
ফুলবাড়ীতে সমবায় দিবস পালিত

আমি বিষয়টি ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসিকে তাৎক্ষণিক মুঠো ফোনে জানাই। থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্তকর্মকর্তা) তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। পরিদর্শনের সময় তিনি দোকানের ভিতর ভাংচুরও লুটপাটের কোনই আলামত পাননি। মিনহাজুল ইসলাম রনি ঘটনা ভিন্নখাতে নিয়ে উদোর পিন্ডি বুদুর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার নিমিত্তে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাদাবী দোকান ঘর ভাংচুর ও অর্থ লুটপাটের ঘটনার নাটক সাজিয়ে থানায় এজাহারসহ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলন করে। চাঁদাদাবী দোকান ঘর ভাংচুর ও অর্থ লুটপাটের ঘটনা সম্পুর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন,বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। পালটা সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমি এর তীব্র ক্ষোভসহ তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানাচ্ছি।

সাংবাদিক সম্মেলনে ইউপি সদস্যগণ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনের পুর্বে ইউপি সদস্যদের নেতৃত্বে এলাকাবাসী এক বিক্ষোভ ও মানববন্ধনকরে।

নভেম্বর ০৬.২০২১ at ১৮:০৭ :০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মউআম/জআ