কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগজনক প্রতিবেদন

সম্প্রতি ৩১ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে করণীয় নিয়ে কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ কপের ২৬ তম আয়োজন। এবারের সম্মেলনে আলোচনা হবে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে দেশগুলোর পরিকল্পনা নিয়ে।

কিন্তু স্কটল্যান্ডে হতে যাওয়া জলবায়ু সম্মেলনের ঠিক আগ মুহূর্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গেল বছর বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্বে নতুন রেকর্ড হয়েছে। ২০২০ সালে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে পৌঁছেছে ৪১৩.২ পিপিএমে। গেল বছর কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন ৫ দশমিক ৬ শতাংশ কমলেও, বিগত এক দশকের গড় তাপমাত্রার তুলনায় গত এক বছরের তাপমাত্রা ছিল বেশি। এ কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি নাগালের মধ্যে রাখতে পারেনি বিশ্ব।

এতে ২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনে হওয়া বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা করতে বছরে ১০০ কোটি ডলারের যে তহবিল গড়ে তোলার ঘোষণা রয়েছে, তা ২০২৩ সালের মধ্যেই পূরণ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে উন্নত দেশগুলো।

কোভিড-১৯ কারণে গেল বছর ফ্লাইট চলাচল বন্ধসহ কলকারখানা, রাস্তাঘাটে যান চলাচল বন্ধ থাকায় জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো কমে যায় প্রায় ৭ শতাংশ। কিন্তু বায়ুমণ্ডলে অনেক আগে থেকেই কার্বন ডাই অক্সাইড দূষণ যে পরিমাণে ছিল, তার তুলনায় জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো কমে যাওয়া খুবই নগন্য।

আরো পড়ুন:
পুকুরে ভেসে উঠল বাবা-মা ও কন্যাশিশুর মরদেহ
তৃতীয় বারের মতো জেলায় শ্রেষ্ঠ হলেন শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন

কার্বনের পাশাপাশি মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইডও গত ১০ বছরে গড় বার্ষিক নির্গমনের পরিমাণের চেয়ে বেশি মাত্রায় বেড়েছে। ডব্লিউএমও বলছে, এই গ্যাসের রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে। আর ২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেধে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছিল, তা অর্জনেও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন বৃদ্ধি শূন্যতে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব। অন্যদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা করতে বছরে ১০০ কোটি ডলারের যে তহবিল গড়ে তোলার ঘোষণা রয়েছে, তা ২০২৩ সালের মধ্যে পূরণ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে উন্নত দেশগুলো।

অক্টোবর  ২৬.২০২১ at ১৩:৩৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ