ঝালকাঠিতে ভাসমান ডিপোর বার্জটি জনস্বার্থে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবী

জনস্বার্থে ঝালকাঠিতে ভাসমান ডিপোর যমুনা অয়েল কোম্পানীর বার্জটি জনস্বার্থে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবী করেছে এলাকাবাসী। শহরতলীর সুগন্ধী নদীর তীর পুরাতন কলাবাগান থেকে বাসন্ডা খালের কাঠপট্টি খেয়াঘাট পর্যন্ত শহর রক্ষা বাধের সাথে ভাসমান এই তেল ডিপোর কারনে এলাকাবাসী প্রতিনিয়ন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। অবিলম্বে ভাসমান ডিপোর বার্জটি সরিয়ে না নিলে বাসন্ডা খালে চর পড়ে নৌচলাচল ব্যহত ও জেলার বাবসা-বানিজ্য চরম হুমকির মুখে পড়বে বলেও তারা আশংকা প্রকাশ করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও এলাকাবাসী জানায়,বিগত ২০০০ সালে শহরতলীর সুগন্ধী নদীর তীরবর্তী পুরাতন কলাবাগান থেকে কাঠপট্টি খেয়াঘাট পর্যন্ত শহর রক্ষা বাধ সংলগ্ন বাসন্ডা খালে যমুনা অয়েল কোম্পানী লি. অস্থায়ী ভাবে এ ভাসমান তেল ডিপো বা বার্জ স্থাপন করে। এরপর থেকে পৌরসভার (সাবেক চর ওয়ার্ড) ঘন জনবসতিপূর্ন এই এলাকার সরু রাস্তা দিয়ে ডিপোটির মালামাল সরবরাহে বাসিন্ধারা নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সরু রাস্তা দিয়ে ট্রাক লরি ঢুকতে না পারায় ভ্যান গাড়ী দিয়ে তেলের ড্রাম ডেলিভারী কালে বিভিন্ন দূর্ঘটনা ঘটছে।

কাঠপট্টি এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বাসন্ডা নদীতে প্রবেশের পরেই এই ভাসমান তেল ডিপো টারমিনাল ও বার্জের অবস্থানের করনে বিরাট এলাকায় চর পরে দিন দিন নদী ভরাট হয়ে ছোট হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে জেলা শহরের নৌবানিজ্যে প্রধান ভূমিকা পালনকারী বাসন্ডা খালে বড়-মাঝারি জাহাজ, লবনের ট্রলার, মালবাহী বড় ট্রলার-নৌকা অনায়াসে চলাচল বিগ্নিত হচ্ছে। তাই জেলা সদরের ব্যবসা-বানিজ্য সচল রাখতে অবিলম্বে এই ভাসমান তেল ডিপো টারমিনাল ও বার্জটি অন্যত্র হস্থান্তরীত না করা হলে নৌপথে মালামাল পরিবহন হুমকির মুখে পরবে।

আরো পড়ুন :
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের নামে দুদকে মামলা
সংবাদ প্রকাশের পর শার্শায় ভিজিডির চাউল আত্বসাতের তদন্ত শুরু

যমুনা অয়েল কোম্পানীর স্থানীয় একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিগত ২০১২ সালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তৈল ডিপো স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহনের জন্যে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন বরাবর আবেদন করে ছিলেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন ভূমি অধিগ্রহনের জন্য ঝালকাঠি সদর এসি ল্যান্ড ও সার্ভেয়ারকে পত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু ১১ বছরের বেশী সময় অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারনে অধিগ্রহন প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট (৯নং) ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির সাগর জানায়, দীর্ঘদিন ধরে যমুনা অয়েল কোম্পানীর ভাসমান তেল ডিপো টারমিনাল ও বার্জ দু’টি থেকে মালামাল পরিবহনকালে প্রায়ই দূর্ঘটনাসহ এলাকাবাসী নানা দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। একই মতামত জানিয়ে ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হাবিবুর রহমান হাবিল জানান, ভেরী বাধের উপর সরু এ সড়ক দিয়ে স্থানীয় লোকজন চলাচল করতে পারলেও কোন ট্যাংক-লরী চলাচল অসম্ভব। তাছাড়া এ ডিপোর কারনে যদি চর পড়ে বাসন্ডা খালের মুখ আটকে যায় ঝালকাঠির ব্যবসা-বানিজ্য চরম হুমকির মুখে পড়বে। তাই জনস্বার্থে অবিলম্বে এ তেল ডিপোর স্থান পরিবর্তন করা উচিত বলে তারা জানান।

এ ব্যাপরে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন্নাহার জানান, অভিযোগের বিষয়ে উক্ত এলাকা পরিদর্শণ করা হবে এবং সমস্যা থাকলে ডিপো কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের উদ্দোগ নেয়া হবে।

অক্টোবর ১৯.২০২১ at ১৬:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মোনা/রারি