যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের নামে দুদকে মামলা

যশোর শিক্ষাবোর্ডের আড়াই কোটি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় দুদকে (দুর্নীতি দমন কমিশন) বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে দুদক যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

মামলার পাঁচজন আসামী হলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেন (৫৭), সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলী আর রেজা (৫৮), হিসাব সহকারী (অডিট শাখা) আবদুস সালাম (৪২) ও বোর্ডে পণ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম (৩৬) ও শাহী লাল স্টোরের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল আলম (৪৮)।

মামলার সূত্রে জানা যায়, মামলার অভিযুক্ত বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেন, সচিব আলী অর রেজা ও হিসাব সহকারী আবদুস সালাম দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম ও আশরাফুল আলমের মাধ্যমে যোগসাজশ করে হিসাবপত্রে মিথ্যা বর্ণনা দিয়ে সরকারি ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে বড় ধরনের অপরাধ।

শিক্ষা বোর্ডের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ও দুদক কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে ১০ অক্টোবর দুদক যশোরের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াতের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট ইউনিট (অনুসন্ধানী দল) শিক্ষা বোর্ডে অভিযান পরিচালনা করে।

আরো পড়ুন:
অভিনয়ের সাথে সাথে আবৃত্তিতেও পারদর্শী ঋদ্ভিক রায়
কলেজছাত্রকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ে

এ সময় শিক্ষা বোর্ডের নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রস্তুত কমিটির সদস্য চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব হারুন অর রশিদকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী তাঁর ২৫ হাজার টাকা ও ওই টাকার ওপর আড়াই হাজার টাকা আয়কর দেওয়ার নথি উপস্থাপন করা হয়। এ জন্য দুটি চেক ও ভাউচার প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে আড়াই হাজার টাকার স্থলে ২৫ লাখ ৮০ হাজার ১০ টাকা ও আয়কর কর্তৃপক্ষের স্থলে ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং নামের প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলামের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের যশোর শাখার হিসাবে ওই টাকা জমা করে আত্মসাৎ করা হয়। এভাবে ৯টি চেকের মাধ্যমে বোর্ডের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিরা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য যোগসাজশে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ বিষয়ে দুদক যশোরের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, শিক্ষা বোর্ডের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে বোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিবসহ পাঁচজনকে আসামি করে দুর্নীতির একটি মামলা করা হয়েছে।

অক্টোবর  ১৮.২০২১ at ২২:০৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/পআ/জআ