আমি বুড়ো মানুষ, দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। কয়েকবার আইডি কার্ড নিয়ে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দায়িত্বে থাকা এক লোক আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। পরে বারান্দায় এসে বসে থাকি। কখন টিকা দিতে পারব তাও জানি না।
এ কথাগুলো বলছিলেন, টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজলোর গোবিন্দাসী গ্রামের শতবর্ষী নারী চন্দ্রভানু বেগম। তিনি মঙ্গলবার উদ্ধোধনের দিন সকাল ১১ টায় উপজেলার গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র টিকা নিতে এসে চরম হয়রানির শিকার হয়ে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে, গণটিকা প্রদানের দ্বিতীয় দিনে বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলার রুহুলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সরেজমিনে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়। টিকা কেন্দ্রগুলোতে কোন ধরণের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই টিকা নিতে আসা নারী-পুরুষের মাঝে। সেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। গাদাগাদি ও এলোমেলো অবস্থায় দাঁড়িয়েছে টিকা নেওয়ার জন্য। তবে সামাজিক দূরত্ব মানাতে টিকা প্রদানের কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মী, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যদের কোন ভূমিকা পালন করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
টিকা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা বিষয়ে উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা-কর্মকর্তা ডা. মহী উদ্দিন আহমেদ জানান- এরকম ঘটনা আমাদের জানা নেই। আমি এবং ইউএনও মহোদয় মঙ্গলবার সকালে গোবিন্দাসী কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলাম আমরা কোন বিশৃঙ্খলা দেখতে পাইনি। তবে আসার পরে কোন ঘটনা ঘটতে পারে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের আগে সুযোগ দিতে হবে। তিনি আরও জানান- উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মোট ১২টি কেন্দ্রে গত মঙ্গলবার থেকে এ গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এতে ৯ হাজার টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও টিকাগ্রহীতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
অপরদিকে, হয়রানির শিকার হওয়া শতবর্ষী চন্দ্রভানু বেগমের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মানুষের মাঝে টিকা নেওয়ার আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
সেপ্টেম্বর ৩০.২০২১ at ১৫:২৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মাহামা/রারি