অনুমোদনহীন বীজ, ক্ষতিপুরণের টাকা আদায় করে দিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর

অনঅনুমদিত বীজ বিক্রি করে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্থ করার দায়ে ঝিনাইদহ শহীদ বীজ ভান্ডারের মালিকের কাছ থেকে দুই লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত সাত কৃষককে ক্ষতিপুরণের টাকা তুলে দেওয়া হয়।

কৃষক জোনাব আলী অভিযোগ করেন তিনি ঝিনাইদহ শহরের শহীদ বীজ ভান্ডার থেকে ৬ বিঘা জমির জন্য সিলেট স্বর্ণ ধানের বীজ ক্রয় করেন। বীজতলা থেকে চারা জমিতে রোপনের পর পরই গাছে শীষ গজিয়ে যায়। তিনি ক্ষতিপুরণ বাবদ ৫৪ হাজার টাকা পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে তিনিসহ ৭ জন কৃষক ঝিনাইদহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।

ঝিনাইদহ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল জানান, কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে তিনি ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লিখিত মতামত চান। হরিণাকুন্ডু উপজেলা ও ঝিনাইদহ সদর কৃষি অফিসার যৌথ ভাবে তাদের মতামত প্রদান করেন যে, ওই বীজ কৃষি বিভাগের অনুমোদিত নয়।

আরো পড়ুন :
বগুড়ায় কেরাম খেলার অন্তরালে চলছে জমজমাট জুয়া
নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠনের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ

অসাদু উপায়ে বীজ বিক্রি করা হয়েছে। মতামতে আরো বলা হয়, এই বীজ থেকে যদি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে বীজ বিক্রেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এ ঘটনার পর ভোক্তা অধিকার আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করে। সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল আরো জানান, কৃষক জোনাব আলী, আজিজুর রহমান মন্ডল, আতিয়ার রহমান, নজির আলী খাঁ, সজল, আকাশ ও লিমন হোসেনকে ক্ষতিপুরণের এই অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

সেপ্টেম্বর  ০৯.২০২১ at ১৭:৩০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কালি/রারি