“১৫ বছর বয়সে উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প”

আহনাফ রিম, বয়স ১৫ বছর, দশম শ্রেনীতে পড়ালেখা করছি। আজ আমি আমার উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্পটি বলব।

আসলে আমি উদ্যোক্তা হবো তা কখনই ভাবি নি। কারন এটা নিয়ে ভাবার মতো কখনও সময় হয়ে উঠেনি।পড়ালেখা নিয়ে অনেক টা ব্যস্ত থাকা হতো। মূলত দ্বিতীয় লকডাউনে একদমই সময় কাটছিলো না। মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া আর ভালো লাগছিলো না। ইচ্ছে করছিলো উন্নয়ন মূলক কিছু করার।

ছোটবেলা থেকে ছবি আকার প্রতি এক অন্যরকম ঝোঁক ছিলো।তাই ভাবলাম হেন্ডপেইন্ট নিয়ে কাজ করা যায়। তারপর আম্মু আব্বু কে বললাম আমার ইচ্ছের কথা।যে বলা সেই কাজ।কিনে নিয়ে এলাম সব সামগ্রি ৷আসলে আমার বাবা মা কখনই আমাকে কোনো কাজে বাধা দেয় না। প্রথমে আমি থ্রিপিস বানাই। নিজেই ডিজাইন করে কাজ টা করি।আমার কাজ আমার আত্নীয় স্বজনরা ও প্রতিবেশীরা দেখে অনেক পছন্দ করে।দুই একটা অর্ডার আসা শুরু হয়।এর আগে কখনই ভাবিনি যে একটাকেই পেশা হিসেবে নিবো। কিন্তু সবাই যখন কাজের প্রশংসা করে, তখন বিষয় টা গুরুত্বের সাথে নেই।

আমার কাজ টা ব্যবসায়িকভাবে করার জন্য প্রথম যে শাড়িটি আমার চাচিমনি কিনে দিয়েছিলো। এরপর ফেসবুক নৈপুণ্যতা নামক একটি পেইজ খুলি এবং কাজ গুলো প্রচার করি। আমি মূলত হ্যান্ড পেইন্ট এর সকল প্রোডাক্ট যেমন শাড়ি, পাঞ্জাবি,কাপল ড্রেস বেবি ড্রেস ইত্যাদি সবকিছু নিয়ে কাজ করছি ।

আরো পড়ুন:
গাজীপুরে নগদ অথর্, অস্ত্র ও মাদকসহ ১৪জন গ্রেফতার
অবশেষে জামিন পেলেন পরী মনি

আলহামদুলিল্লাহ আমাকে কখনও অর্ডারের জন্য কারো কাছে যেতে হয় নি। আমার কাজের গুণগত মানের জন্য সবসময় অর্ডার হাতেই থাকে এবং ক্রেতা কখনও খারাপ রিভিউ দেয় নি। ইতোমধ্যে আমার পণ্য দেশের বাইরে আমেরিকাতে চলে গিয়েছে। আর আমার জীবনে একটি বড় স্বপ্ন আমার আয় করা প্রথম টাকা আমি আমার পরিবারের মানুষদের জন্য খরচ করবো।

আলহামদুলিল্লাহ আমার সেই স্বপ্নটি পূরণ করতে পেরেছি,তাদের সামান্য কিছু উপহার দিয়ে। আসলে আমার উদ্যোক্তা হয়ে উঠাতে তেমন কঠিন কোনো বাধা ছিলো নাহ। তবে নিজেকে নতুন ভাবে তুলতে পেরেছি। আসেপাশের মানুষের কাছে নতুন পরিচিত পেয়েছি। আরও কিছু স্বপ্ন পূরণ হতে বাকি। দোয়া করবেন এই উদ্যোগ কে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে এটি আরো বড় কিছু তে রূপান্তর করতে চাই এবং সফল উদ্যোক্তা ও ডিজাইনার হতে চাই।

আগস্ট ৩১.২০২১ at ১৭:০৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আহ/জআ