ঝালকাঠিতে বাংলাদেশে প্রথম ভাসমান হাসপাতাল করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ৬মাসে ১১হাজার ৩২৪জন রোগীকে চক্ষুসহ বিভিন্ন রোগের সেবা প্রদান করেছেন। গত ১ মার্চ থেকে আগস্ট মাস ২০২১ পর্যন্ত ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর তীরে কালেক্টরেট স্কুলের সামনে নোঙ্গর করে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এই রোগীদের মধ্যে ২৯৬জন রোগীকে ছানী অপারেশন করে লেন্স বসানো হয়েছে। নাক-কান-গলার ৫৭জন রোগীকে ও জন্মগত ঠোঁট-তালুকাটা ৪৫জন রোগীকে প্লাস্টিক সার্জারী করা হয়েছে। ৬২জনকে সহায়ক সামগ্রী ও ৫০জনকে ভিজিও থেরাপী দেয়া হয়। এর পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের ৭৫ ধাত্রীকে ও ৭৪জন শিক্ষক এবং কমিউনিটি লিডারদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
ভাসমান হাসপাতালটি আগামী তিন মাস পর্যন্ত এখানে অবস্থান করবে বলে হাসপাতাল প্রশাসক মো. আলাউদ্দিন জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ৪জন চিকিৎসক, ৪জন নার্সসহ ৪২জন স্টাফ রয়েছে। এই হাসপাতালে প্যাথলজি ও ডিজিটাল এক্সরেসহ আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। অপারেশন যোগ্য রোগীদের রাখার জন্য ১০টি বেড রয়েছে।
বড় আকারের অপারেশনের জন্য ঢাকা থেকে চিকিৎসক আসেন এবং রোগীদের প্রয়োজন হলে অন্য হাসপাতালে নেয়ার জন্য ভাসমান হাসপাতালে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স সেবা রয়েছে।
আগস্ট ৩০.২০২১ at ২১:৫১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মন/জআ