পরিত্যাক্ত জেলখানা এখন ভূতের বাড়ি!

বীরগঞ্জ পুরাতন জেলখানাটি অযন্ত অবহেলায় এখন যেন ভূতুরে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। এটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে চলে বখাটে নেশাখোর ছেলেদের আড্ডা। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে অনেকেই এখন জেলখানাটি ভুতের বাড়ি নামেই চেনে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিগত ৩০ বছর আগে বীরগঞ্জ উপজেলায় ১০০ শত জন কয়েদির ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন মিনি সাব জেলখানা নির্মিত করেন।

জানা যায়, ১৯৯১ সালে সরকার উপজেলা আদালত গুলোকে জেলা শহরে স্থানান্তর করে। সারা বাংলাদেশে ২৫ টি উপকারাগার ছিল। উপ-কারাগার গুলোকে প্রত্যাহার করলে, এটি গত ৩০ বছর ধরে পরিত্যাক্ত। উপ-কারাগার এর বর্তমান অবস্থা, অযতœ, অবহেলা আর তদারকির অভাবে কারাগারটির দরজা-জানালা ভেঙে ভুতুড়ে ঘরে রুপান্তরিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায় , ১৯৮১ সালে সরকারি ভাবে থানা গুলোকে উপজেলায় রূপান্তর করে, সেই সময় প্রতিটি উপজেলা আদালতে বিচার কার্য চালু ছিল। বর্তমান দিনাজপুর জেলা কারাগার ১৮৫৪ সালের উত্তর বঙ্গের বৃহত্তম কারাগার হিসেবে স্থাপিত হয়েছিল।

দিনাজপুরের উত্তরেও বীরগঞ্জ উপ-কারাগার হয়েছে ১৯৮৪ সালে। যার আয়তন ছিল ২.২০ একর জমি। তবে বর্তমানে কমে ১.৮০ একর জমি। তবে ১৯৯১ সাল থেকে বীরগঞ্জ উপ-কারাগার ৩০ বছর থেকে পরিত্যাক্ত।

এখানে মোঃ আব্দুর রহমান, বীরগঞ্জ উপ-কারাগারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে তিনি জানান, কোন ক্ষয় ক্ষতি করতে না দেওয়ায় রাতে আক্রমণ করার চেষ্টা করে অনেকে।

আরো পড়ুন:
চিলমারীতে চলাচলের ব্রিজ যখন মরণ ফাঁদ

এ বিষয়ে বীরগঞ্জ সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকতা সারোয়ার মুশির্দ আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারাগারটি ২২ মার্চ ২০০৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সমাজ সেবা অধিদপ্তরকে হস্তান্তর করেন। রংপুর বিভাগে শিশু অপরাধী সংশোধনী কারাগার না থাকায়, এটিকে রূপান্তরিত করতে পারেন। তিনি আরো বলেন, ঢাকা থেকে আগত একটি টিম পরিদর্শন করেন।